এবার পর্দায় ‘জুনিয়র আর্টিস্ট’

নায়ক হওয়ার স্বপ্ন দেখে পিয়াল। ১৯৯টি চলচ্চিত্রে এক্সট্রা আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করেছে সে। তার ইচ্ছে ২০০ নম্বর সিনেমায় মূল চরিত্রে অভিনয় করে সবাইকে চমকে দিবে। কিন্তু হঠাৎ তার ভালোবাসার মানুষ তৃণার বিয়ে নিয়ে উঠেপড়ে লাগে তৃণার মামা জামশেদ। কিন্তু এই মুহূর্তে পিয়াল কী করবে বুঝতে পারে না। তারপর নাহিদকে নিয়ে মাস্টার প্ল্যান করে সে। সিনেমায় তাদের মতো যারা উপেক্ষিত এক্সট্রা আর্টিস্ট আছে, যারা সিনেমায় কখনো ভালো চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পায়নি, এটা হবে তাদের জীবনের শ্রেষ্ঠ চরিত্র। অর্থাৎ জামশেদ সাহেবের সামনে কেউ অভিনয় করবে পিয়ালের বাবা-মা, ভাই-বোনের চরিত্রে।

এরপর পিয়ালের নির্দেশনায় তৃণার মামার সামনে বিভিন্ন চরিত্রে নিখুঁত অভিনয় শুরু করেন সবাই। ‘বাপে তাড়ানো, মায়ে খেদানো’ অখ্যাত এসব এক্সট্রা আর্টিস্টরা এমন চরিত্র পেয়ে নিজেদের ঢেলে দিতে কার্পণ্য করে না। বরং সত্যিকারের বাবা-মা, ভাই-বোন হয়ে চরিত্রের সঙ্গে মিশে যায়। তাদের নিখুঁত অভিনয় জামশেদ ধরতে না পারলেও তার সহকারী লাট্টুর চোখে খটকা লাগে। ক্ষীণ শক্তির লাট্টু কোথায় যেন তাদেরকে দেখেছে তা ঠিক মনে করতে পারে না। কারণ তারকাদের পেছনে শত শত সিনেমায় অভিনয় করলেও কেউ তাদের মনে রাখে না।

 

এক পর্যায়ে ডাক পড়ে আইটেম গার্ল জিনিয়ার। যাকে পরিচয় করানো হয় পিয়ালের ছোট খালা হিসেবে। জিনিয়াকে দেখে জামশেদের মাথা ঘুরে যায়। তারপর ঘটতে থাকে নানা ঘটনা। এমন গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ধারাবাহিক নাটক ‘জুনিয়র আর্টিস্ট’। রাজীব মণি দাসের রচনায় ৭ পর্বের এ ধারাবাহিক নাটক নির্মাণ করেছেন তরুণ নির্মাতা কাজী সাইফ আহমেদ।

নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন— লুৎফর রহমান জর্জ, মীর সাব্বির, এ্যানি খান, শিপন মিত্র, ইরা শিকদার, আরফান আহমেদ প্রমুখ। এটি প্রযোজনা করেছে লাইফ গোল্ড মিডিয়া। ঈদুল আজহার দিন থেকে সপ্তম দিন পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টায় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টিভিতে প্রচার হবে নাটকটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *