ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের নাতি প্রিন্স হ্যারির সঙ্গে ২০১৮ সালে মেগানের বিয়ে হয়। বিয়েতে মেগানের বাবা উপস্থিত ছিলেন না। ঐ সময় মেগান তার বাবা টমাস মার্কেলকে ঐ চিঠি লেখেন। শুক্রবার বিচারপতি ওয়ারবি মেইল পত্রিকাকে আদেশ দিয়ে বলেন, পত্রিকাটিকে অবশ্যই রবিবার তাদের প্রথম পাতায় এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশ করতে হবে এবং ভেতরের পাতায় মামলার রায় নিয়ে বিবৃতি দিতে হবে।
এছাড়া, মেইল অনলাইন ভার্সনেও মেগানের জয়ের খবর এক সপ্তাহ প্রচার করতে হবে। এই মামলার খরচ হিসেবে মেগানের আইনজীবীরা পত্রিকাটির ১৫ লাখ পাউন্ডের বেশি ক্ষতিপূরণ দাবি করেছিলেন। কিন্তু পত্রিকাটিকে সাড়ে ৪ লাখ পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দিতে বলেছেন বিচারক।
শুনানিতে মেইল পত্রিকার আইনজীবীরা বিচারকের কাছে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার অনুমতি চাইলে তা তিনি বাতিল করে দেন। তবে তিনি বলেন, ‘তারা চাইলে এজন্য সরাসরি আপিল কোর্টে আবেদন করতে পারে। যদিও সেখানে এই মামলার রায় পরিবর্তন হওয়ার কোনো প্রকৃত কারণ আমি দেখতে পাচ্ছি না।’
এদিকে, হ্যারি ও মেগানের যে সাক্ষাত্কার অপরাহ উইনফ্রে নিয়েছেন সেটি শোনার জন্য অপেক্ষায় আছে গোটা বিশ্ব। ঐ সাক্ষাত্কারটি রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের সিবিএস চ্যানেলে ও যুক্তরাজ্যের ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনে সোমবার প্রচার করার কথা আছে।
সাক্ষাত্কারটির ৩০ সেকেন্ডের একটি টিজার ক্লিপ প্রকাশ করেছে সিবিএস। সেখানে দেখা গেছে উইনফ্রে ডাচেসের কাছে জানতে চাইছেন ‘আপনি আজ যদি সত্য প্রকাশ করেন তবে রাজপ্রাসাদের পক্ষ থেকে কেমন প্রতিক্রিয়া জানানো হবে বলে মনে করেন?’ জবাবে মেগান বলেন, ‘আমি জানি না তারা কীভাবে প্রত্যাশা করে যে আমরা চুপ থাকব, যখন কি না আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা রটনাকে চিরস্থায়ী রূপ দিতে রাজপরিবার ও তাদের কর্মীরা সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।’
মেগান আরো বলেন, ‘কোনো কিছু হারানোর ঝুঁকির কথা যদি বলেন, তাহলে বলব এরই মধ্যে অনেক কিছু হারিয়ে ফেলেছি।’ এর আগে হ্যারির সাক্ষাত্কারের কিছু অংশও প্রকাশ করেছিল সিবিএস। সেখানে হ্যারি বলেন, মায়ের মতো একই পরিণতির আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াতো তাকে।