শেষ যাত্রায় সঙ্গী কোয়ান্টাম

ফোন পেলেই ঝটপট প্রস্তুত হয়ে ছোটেন তারা করোনায় মৃতদের বিদায়বেলায় শেষ সম্মান জানাতে। কখনও মুগদা হাসপাতাল, কখনও ঢাকা মেডিকেল, কখনও বা মৃতের বাসায়। দিনরাত ২৪ ঘণ্টা সেবার জন্য প্রস্তুত নিবেদিতপ্রাণ এই মানুষেরা। কখনও ইফতার করেই ছুটতে হয়, কখনও বা সেহরির পরপর। যে কোনো মুহূর্তে করোনায় মৃতদের দাফন কাজে এভাবে সেবা দিয়ে চলেছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক দল।

কোয়ান্টামের দাফন কাজে সংশ্নিষ্ট সাংগঠনিক কর্মকর্তা সালেহ আহমেদ বলেন, গত ৭ এপ্রিল থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত ঢাকায় দু’জন মুক্তিযোদ্ধাসহ ১৩৯টির ওপরে এবং ঢাকার বাইরে ২২টি দাফন কাজ সম্পন্ন করেছেন তারা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিধি মেনে হাসপাতাল বা বাসায় গিয়ে মৃতদের ধুইয়ে কাফনের কাপড় পরানোর পর ডব্লিউএইচওর নির্ধারিত বিশেষ ব্যাগে লাশ প্যাকেট করে অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যাওয়া হয় সরকার নির্ধারিত কবরস্থানে। সেখানে জানাজা ও কবর দেওয়ার পর মৃতের জন্য দোয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হয় সৎকার কাজ।

নিজেদের সুরক্ষার বিষয়ে বলেন, ‘আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশেষ পিপিইসহ সুরক্ষা পোশাক পরি। সৎকারের পুরো প্রক্রিয়ায় যথাযথ উপকরণ ব্যবহার করা হয়। শুধু নিজেদের সুরক্ষাই নয়, হাসপাতালে মরদেহ থাকার স্থানসহ কবরস্থানের সংশ্নিষ্ট পুরো এলাকায় জীবাণুনাশক ব্যবহার করে বিশুদ্ধ করে তুলি। প্রতিবার কাজের পর নিজেদের পরনের পিপিইসহ অন্যান্য পরিধেয় জিনিসপত্র তখনই পুড়িয়ে পরিবেশ সুরক্ষিত করা হয়। পিপিই, জীবাণুনাশক, কাফনের কাপড়, ব্যাগসহ সব খরচ কোয়ান্টামের স্বেচ্ছা অর্থায়নে সম্পন্ন হয়।’ তিনি জানান, কোয়ান্টামের পক্ষ থেকে শুধু মুসলিম নয়, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মৃতদেহ সৎকারের জন্যও আলাদা টিম কাজ করছে। নারীদের মৃতদেহের জন্য রয়েছে কোয়ান্টামের নারী স্বেচ্ছাসেবী দল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *