লন্ডনে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন

‘বঙ্গবন্ধু লাউঞ্জ’-এর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২০ উদযাপন করেছে লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাই কমিশন। বুধবার এই বিশেষ লাউঞ্জের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করা হয়।

 

যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম লন্ডন মিশনে এই বিশেষ লাউঞ্জের শুভ উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বাংলাদেশি-ব্রিটিশ কমিউনিটির অতিথিবৃন্দ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা। লন্ডন ও আশেপাশের শহরগুলোয় করোনা ভাইরাসের দ্রুত বিস্তারের কারণে ছোট পরিসরে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও মুজিব জন্ম শতবার্ষিকীর দিনটি দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহের সঙ্গে উদযাপন করা হয়।

 

‘বঙ্গবন্ধু লাউঞ্জ’-এর উদ্বোধনের পর হাইকমিশনার বলেন, এই লাউঞ্জে বাংলাদেশি-ব্রিটিশ শিল্পীদের আঁকা বঙ্গবন্ধুর পোট্রেটসহ যুক্তরাজ্রে তাঁর বিভিন্ন সময়ের সফরের ঐতিহাসিক তৈলচিত্র, কমনওয়েলথের ছবি এবং বিভিন্ন স্মরণিকা রাখা হয়েছে, যা পুরো মুজিববর্ষব্যাপী ও তার পরেও প্রদর্শন করা হবে। এর মাধ্যমে কূটনৈতিক মহল, বাংলাদেশি-ব্রিটিশ কমিউনিটি, বিশেষ করে বাংলাদেশি-ব্রিটিশ তরুণ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুকে আরো ভালো করে জানতে ও বুঝতে পারবে।

 

বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীর শুভক্ষণে তিনি যুক্তরাজ্য এবং আয়ারল্যান্ডের প্রবাসী বাংলাদেশিদের শুভেচ্ছা জানান। একই সাথে জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে এ দু‘দেশের প্রবাসী বাংলাদেশি শিশু-কিশোর ও তরুণ সমাজকে অমিত সম্ভাবনাময় নতুন প্রজন্ম হিসেবে উল্লেখ করে তাদেরকে জাতির পিতার মানবিক মূল্যবোধ, দেশপ্রেম, অকুতোভয় সাহস এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ড এবং তাদের শেকড়ের দেশ বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে যথাসাধ্য কাজ করে যাওয়ার আহবান জানান।

 

এছাড়াও হাইকমিশনার যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাজ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাথে বঙ্গবন্ধুর সুগভীর এবং অবিচ্ছেদ্য প্রাণের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, এ জন্যই স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সময় জাতির পিতা এ যুক্তরাজ্যের মাটিতেই তাঁর প্রথম গৌরবময় পদধূলি ফেলেছিলেন এবং বাংলাদেশি-ব্রিটিশরা আজ গর্বিত দ্বৈত নাগরিক।

 

সকালে দিবসের শুরুতে হাই কমিশনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার পর জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। পরে বঙ্গবন্ধু ও তার শহীদ পরিবারের সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

 

অনুষ্ঠানের শুরুতে হাইকমিশনার দূতাবাসের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বাংলাদেশি-ব্রিটিশ কমিউনিটির আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা জানান। এরপর বঙ্গবন্ধুর জীবনের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং বাংলাদেশি-ব্রিটিশ শিল্পীরা জাতির পিতাকে নিবেদন করে নতুন করে লেখা গান ও কবিতার সমন্বয়ে একটি বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। শেষে উপস্থিত সবাইকে নিয়ে জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে বিশেষভাবে সজ্জিত “১০০” লেখা একটি কেক কাটা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *