বার্সেলোনায় ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণী

 

 

স্পেনের বার্সেলোনায় ব্যাডমিন্টন গ্রুপ, বাংলাদেশ কমিউনিটির ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৩০ নভেম্বর) ফাইনাল খেলার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ দূতাবাসের বার্সেলোনার কনস্যুলেটর রামন পেদ্রো বেরনাউস। ব্যাডমিন্টন গ্রুপ বার্সেলোনা, বাংলাদেশ কমিউনিটির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম চৌধুরীর পরিচালনায় এবং সদস্যদের সহযোগিতায় জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে ফাইনাল ও টুর্নামেন্টের সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়।

 

বার্সেলোনা শহরের উপকণ্ঠে ভূমধ্যসাগর পাড়ে অবস্থিত ইনডোর স্টেডিয়াম ফাভেইয়ো লা মারভেইয়াতে সন্ধ্যা সাড়ে ৮টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিকতা চলে। এতে কাতালোনিয়ার উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ বাংলাদেশি কমিউনিটির সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

 

 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারের সাবডেলিগেশন (বার্সেলোনা) কার্লোস প্রিয়েতো গোমেজ, পিএসসির নাগরিকত্ব বিভাগের সেক্রেটারি জেনেরাল মারিয়া গার্সিয়া লোপেজ, পিএসসির সমতায়ন বিভাগের সেক্রেটারি জেনেরাল মনসেররাত গ্রাসিয়া, সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাঈব আখদিম, অ্যাকটিভ ওমেনের প্রেসিডেন্ট মনসেররাত রামন, সিইইবি মারভেইয়ার কো-অর্ডিনেটর খোসে মরেনো প্রমুখ।

 

আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে রাত ৯টায় ফাইনাল খেলার প্রতিযোগিতা হয়। খেলায় গ্রুপ ‘এ’ জুটির ফয়সাল ও মোক্তার, গ্রুপ ‘আই’ জুটির সোহেল-নাদিম প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। খেলায় ফয়সাল-মোক্তার জুটি ২-০ সেটে জয়ী হয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে এবং সোহেল-নাদিম জুটি রানারআপ হয়।

 

 

 

এর আগে সেমিফাইনাল খেলায় পরাজিত দুই দলের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তৃতীয়স্থান নির্ধারণী ম্যাচে গ্রুপ ‘বি’ জুটির আরিফ-জাফা টুর্নামেন্টে তৃতীয় দল হিসেবে মনোনীত হয়।

 

ফাইনাল শেষে চ্যাম্পিয়ন, রানারআপ ও তৃতীয় স্থান অধিকারী গ্রুপের প্রত্যেককে ট্রফি প্রদান করা হয় এবং টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের স্মৃতিস্মারক হিসেবে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

 

বাংলাদেশি কমিউনিটির ব্যাডমিন্টনপ্রিয় খেলোয়াড়দের নিয়ে গঠিত ব্যাডমিন্টন গ্রুপ, বার্সেলোনা নিজস্ব খেলোয়াড়দের নিয়ে এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করে। মোট নয়টি গ্রুপে ১৬ জন খেলায়াড় টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেন।

 

টুর্নামেন্টের প্রথম রাউন্ডের খেলায় পয়েন্ট ভিত্তিতে প্রতিটি গ্রুপই একে-অপরের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে। পরে পয়েন্টের ভিত্তিতে শীর্ষে থাকা চারটি দলের মধ্যে সেমিফাইনাল এবং সেমিফাইনালে বিজয়ী দুটি দলের মধ্যে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়।

 

অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদের সম্মানে বিশেষ নৈশভোজের ব্যবস্থা করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *