ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বিভিন্ন জেলায় গাছ উপড়ে পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ও লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোয় বিদ্যুত্সংযোগ বন্ধ ছিল। এদিকে বিদ্যুতের সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল অপারেটরদের নেটওয়ার্কও বন্ধ হয়ে যায়।
অপারেটরদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঝড়ের কারণে বিদ্যুত্ বিচ্ছিন্ন এবং অপারেটরদের নিজস্ব ব্যাকআপ শেষ হয়ে যাওয়ার ফলে অনেক জেলায় টানা দুই দিন মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের দিন গ্রামীণফোনের মোট ১৯০০ টাওয়ার, রবি ও এয়ারটেলের ৭০০ টাওয়ার এবং বাংলালিংকের ৫৫০টি টাওয়ার বন্ধ হয়ে যায়। দ্রুত সময়ে এসব টাওয়ারে সংযোগ দেওয়া হলেও মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গ্রামীণফোনের ৫০০, রবি ও এয়ারটেলের ৭০০ এবং বাংলালিংকের ১৮০টি টাওয়ারে সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। অপারেটরগুলো বলছে, ঝড়ের সময় বিদ্যুত্ থাকে না। এছাড়া অনেক এলাকায় নিরাপত্তার জন্য বিদ্যুত্ অফিস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। বিদ্যুত্ ছাড়া অপারেটরগুলো নিজস্ব জেনারেটর দিয়ে সাইট আপ রাখলেও শেষ পর্যন্ত অনেকেই বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। ফলে অনেক জেলাতেই দীর্ঘ সময় মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ ছিল। এ ব্যাপারে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, বিদ্যুত্ টাওয়ারগুলো সচল করা সম্ভব হয়নি।
বাংলালিংকের করপোরেট কমিউনিকেশন ম্যানেজার আনকিত সুরেকা বলেন, বিদ্যুতের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা সামান্য কিছু সময় পর্যন্ত ব্যাকআপ দিতে পারি। কিন্তু পরে আর সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তিনি জানান, বরিশাল, খুলনা, ফরিদপুর, পিরোজপুর জেলায় এখনো ১৮০টি সাইট আপ করার কাজ করছে বাংলালিংক।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্ত মোবাইল নেটওয়ার্ক স্বাভাবিক হতে আরো কিছু সময় লাগবে বলে জানিয়েছে গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ। সোমবার রাজধানীর গুলশানে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রতিষ্ঠানটির উপপ্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান। তিনি বলেন, প্রায় ১৩ শতাধিক টাওয়ার ঝড়ের কবলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া মোট ১৯ শত টাওয়ার ডাউন ছিল।