পুণে টেস্টের পুনরাবৃত্তি রাঁচিতে। এই টেস্টের ভবিষ্যৎ তৃতীয় দিনেই দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিলো। তবে চতুর্থ দিনের ইনিংস যে এতটা ক্ষণস্থায়ী হবে, তা হয়তো আন্দাজ করা যায়নি। ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার সংযোজন মাত্র এক রান। হ্যাঁ, এক রান করেই জোড়া উইকেট খুইয়ে বিরাট কোহলির টিম ইন্ডিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশ হলেন ডু প্লেসিরা।
বিরাট কোহলিদের ঘরের মাঠে বাঘ বললে কম কিছু বলা হবে না। ব্যাটিং থেকে বোলিং এবং ফিল্ডিং। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই নিজেদের দক্ষতা প্রমাণ করেছেন ক্রিকেটাররা। দক্ষিণ আফ্রিকার মতো হেভিওয়েট দলের বিরুদ্ধে ভারতের এমন পারফরম্যান্স নিঃসন্দেহে দলের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলবে।
এই সিরিজে ভারতের প্রধান পাওনা রোহিত শর্মা। যেভাবে একটি ডাবল সেঞ্চুরি-সহ তিন টেস্টে তিনটি শতরান করলেন হিটম্যান, তাতে অনেকেই বলতে শুরু করে দিয়েছেন যে ভারত হয়তো টেস্টের বীরেন্দ্র শেহওয়াগকে পেয়ে গেল। রোহিতের পাশাপাশি রাঁচি টেস্টের আবিষ্কার এক বোলারও। শাহজাব নাদিম। পরপর দুই বলে জোড়া উইকেট নিয়ে তিনিই চতুর্থ দিনের শুরুতেই গুটিয়ে দিলেন প্রোটিয়াদের। দুটি করে উইকেট পেয়েছেন শামি, জাদেজাও। তিনটি উইকেট তুলে নিয়েছেন উমেশ যাদব। যিনি ব্যাট হাতেও ধোনির ঘরের মাঠে ইতিহাস গড়েছেন।
এই প্রথম ঘরের মাঠে কোহলির নেতৃত্বে হোয়াইটওয়াশ দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্যাচ শেষে উচ্ছ্বসিত কোচ রবি শাস্ত্রী বলছিলেন, ‘লর্ডস হোক বা মেলবোর্ন, দুনিয়ার যে কোনও প্রান্তেই খেলিনা কেন, আমাদের লক্ষ্য প্রতিপক্ষের কুড়িটা উইকেট তুলে নেওয়া। সেই কারণেই এভাবে বোলিং লাইন-আপ সাজানো হয়েছে।’
শুধু তো হোয়াইটওয়াশ নয়, এই সিরিজ জয়ের ফলে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ১২০ পয়েন্ট যোগ হল ভারতের। সবমিলিয়ে বাংলাদেশ সিরিজের আগে সাফল্যের শিখরে কোহলি অ্যান্ড কোং।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ৪৯৭/৯ ডিক্লেয়ার (রোহিত-২১২*, রাহানে-১১৫, জাদেজা-৫১)
দক্ষিণ আফ্রিকা: ১৬২, ১৩৩ (লিন্ডে ২৭, ডি ব্রুইন ৩০)
এক ইনিংস এবং ২০২ রানে জয়ী ভারত