স্বতন্ত্ররা মোর্চা গঠন করে বিরোধী দল হতে পারে: আইনমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক:

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২২২ আসনে জয়লাভ করে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ৬২টি আসনে জয়লাভ করেছে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। জাতীয় পার্টি জিতেছে ১১ আসনে। এ ছাড়া জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), ওয়ার্কার্স পার্টি ও কল্যাণ পার্টি একটি করে আসনে জয়লাভ করেছে। সংসদে বিরোধ দল কে হবে—তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।

এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদে বিরোধী দল কারা হবে, তা নির্ধারণ করছে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের অবস্থানের ওপর।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘স্বতন্ত্ররা যদি মনে করেন, তাঁরা সরকারের সঙ্গে না থেকে নিজেরা একটা মোর্চা করবেন। অবশ্যই তাঁরা সেটা করতে পারবেন। তখন বিরোধী দল হিসেবে কাকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে, সেটা জানা যাবে। কিন্তু আমার মনে হয়, বিরোধী দল হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক আসন প্রয়োজন। স্বতন্ত্রদের যথেষ্ট আসন আছে। ৬২টি আসনে তাঁরা জয়ী হয়েছেন।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সংসদ সদস্যরা কাল শপথ নেবেন। আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ দল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংসদ নেতা ও পার্লামেন্টারি পার্টির নেতা হিসেবে নির্বাচিত করার পর রাষ্ট্রপতি তাঁকে নতুন সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানাবেন। তারপর নতুন সরকার গঠন হয়ে যাবে। নতুন সরকার যতক্ষণ পর্যন্ত গঠিত না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত বর্তমান সরকার দায়িত্ব পালন করবে। এ জন্য কোনো সময়সীমা নেই। কিন্তু রীতি হিসেবে, শপথ নেওয়ার পাঁচ-সাত দিনের মধ্যে নতুন সরকার ঘোষিত হয় ও শপথ নেন। আমার মনে হয়, সেইভাবেই এবারও তাই হবে। এটা আমার ধারণা। তবে দিনক্ষণ আমি বলতে পারব না। প্রথমে নির্বাচন কমিশন নতুন সংসদ সদস্যদের গেজেট প্রকাশ করবে। তারপর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে শপথ নিতে হবে এমপিদের।’

আনিসুল হক বলেন, ‘আমার মনে হয়, আপনাদের একটু অপেক্ষা করতে হবে বিষয়টি পরিষ্কার হওয়ার জন্য। কাল শপথ নেওয়ার পরে স্বতন্ত্রদের অবস্থান কী হবে, তারা নিশ্চয়ই জানাবেন। তাদের অবস্থান ঘোষিত হওয়ার পরেই বিরোধী দল কারা হবেন, সেটা বুঝতে পারবেন।’

স্বতন্ত্ররাতো আওয়ামী লীগেরই তাহলে বিরোধী দলও একই দলের হয়ে গেল না—এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘যারা স্বতন্ত্র নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁরা আওয়ামী লীগ হিসেবে নির্বাচিত হননি। তাঁদের প্রতীকও ছিল ভিন্ন। নৌকা মার্কায় কেবল আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। কাজেই স্বতন্ত্ররা আওয়ামী লীগার এটা মুখের কথা হতে পারে, কিন্তু আইনের কথা বা বাস্তবতার কথা সেটা না। তাঁরা যদি স্বতন্ত্র হয়ে জয়ী হয়ে যে স্বাধীনতা আছে, তাঁরা যদি মনে করেন একটা মোর্চা করেন, তখন বিরোধী দল কারা হবেন, তখন নিশ্চিত হওয়া যাবে।’

বিরোধী দল হতে হলে কতটি আসন পেতে হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটা আসনসংখ্যা আছে। তবে সেটা এখন বলতে পারছি না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *