বরিসের বিরুদ্ধে বুধবার অনাস্থা ভোট হতে পারে

লকডাউনের মধ্যে নিজের সরকারি বাসভবনে মদ্যপানের আসর জমিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তাঁর এই কেলেঙ্কারি ‘পার্টিগেট’ নামে পরিচিতি পেয়েছে। এ ঘটনায় নিজ দল কনজারভেটিভ পার্টির জ্যেষ্ঠ এমপিরা তাঁর পাশে নেই। বরিসের নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন তাঁরা। যুক্তরাজ্যের সানডে টাইমস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বরিসের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোট হতে পারে আগামী বুধবার। খবর রয়টার্সের।

পার্টিগেট কেলেঙ্কারির ঘটনায় বরিসকে বিদায় করার কথা ইতিমধ্যে জোরালোভাবে দাবি করেছেন কনজারভেটিভ পার্টির বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতা। তাঁদের কেউ কেউ ইতিমধ্যে বরিসের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে চিঠিও লিখেছেন।

অনাস্থা ভোটের নিয়ম অনুযায়ী, পার্লামেন্টে বরিসের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব আনার জন্য কনজারভেটিভ পার্টির অন্তত ৫৪ জন পার্লামেন্ট সদস্যের সম্মতি প্রয়োজন। এরপর দলের ‘১৯২২ কমিটি’র চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি দিয়ে সেই অনুরোধ জানাতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে পার্লামেন্ট সদস্যদের পরিচয় প্রকাশ করার কোনো প্রয়োজন নেই। শুধু চেয়ারম্যান জানতে পারবেন কতটি চিঠি জমা পড়েছে।

ইতিমধ্যে ২৫ জন আইনপ্রণেতার চিঠি দেওয়ার বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে। টাইমস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, কনজারভেটিভ পার্টির বিদ্রোহী সদস্য ও দলটির আইনপ্রণেতারা মনে করছেন, বরিসের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিঠির একেবারে কাছে রয়েছেন তাঁরা। একজন আইনপ্রণেতা বলছেন, প্রয়োজনীয় সংখ্যার বেশি চিঠি তাঁরা পেয়েছেন।

টাইমস বলছে, ১৯২২ কমিটির কর্মকর্তারা বুধবার নেতৃত্ব নির্বাচনের ভোটের তারিখ নির্ধারণ করে ফেলেছেন।

করোনাকালে লকডাউনের বিধি ভেঙে পার্টি করার জন্য পার্লামেন্টে ক্ষমা চেয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস। আইনভঙ্গের জন্য তাঁকে জরিমানাও পরিশোধ করতে হয়েছে। তবে পার্টিগেট কেলেঙ্কারি নিয়ে নিজ দলের এমপিদের পক্ষ থেকে পদত্যাগের চাপ বাড়লেও বরিস বলেছেন, তিনি পদত্যাগ করবেন না। কারণ, সরকার বর্তমানে নানা চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। এখান থেকে সরে যাওয়াটা ঠিক হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *