সকাল থেকেই ঝুম বৃষ্টি। এর মধ্যেই কয়েকটা স্কুলের শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়েছিল পাবনার ভাঙ্গুরা জরিনা-রহিম বালিকা বিদ্যালয়ে আয়োজিত প্রোগ্রামিং ক্যাম্পে। এদের মধ্যে একটি স্কুলের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির মধ্যে নৌকায় চলন বিল পাড়ি দিয়ে এসেছিল।
পাবনার ভাঙ্গুরার শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন) গত কিছুদিন ধরে নানা আয়োজন করছে। এর মধ্যে ভাঙ্গুরা জরিনা রহিম বালিকা বিদ্যালয়ের মেয়েদের নিয়েই মূলত সব আয়োজন ছিল। এই স্কুলের কিছু মেয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে প্রথমবারের মতো রাজধানী শহরে আসে। এ সময় তারা বিভিন্ন বিজ্ঞান স্থাপনাসহ জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, টেলিভিশন কেন্দ্র, জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার এবং কয়েকটি আইটি প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখে। তারপর তারা তাদের গ্রামে ফিরে যায়। এরপরে বিডিওএসএন এই স্কুলে সায়েন্স ক্যাম্প, প্রোগ্রামিং ক্যাম্প এবং গতমাসে রোবটিক্স ক্যাম্পের আয়োজন করে। এই স্কুলের একটি টিম গত এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত জাতীয় শিশু-কিশোর বিজ্ঞান কংগ্রেসে অংশগ্রহণ করে পুরস্কার অর্জন করে। এছাড়া গত সেপ্টেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত ২য় বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াডেও এরা অংশগ্রহণ করে।
এখন আরো কয়েকটি স্কুলে এ ধরনের কর্মকাণ্ড সম্প্রসারণের জন্য বিডিওএসএন চেষ্টা করে যাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে দুই দিনব্যাপী একটি প্রোগ্রামিং ক্যাম্প করানো হয়েছে। জরিনা-রহিম বালিকা বিদ্যালয় ছাড়াও ছোট বিস্কল উচ্চ বিদ্যালয়, আদাবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও পুকুরপাড় আইডিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই ক্যাম্পে যোগ দিয়েছে।
প্রোগ্রামিং এর মূল ব্যাপারটা ধরিয়ে দেয়ার জন্যই মূলত এ ক্যাম্পের আয়োজন। এই ৪টি স্কুল থেকে মোট ৩৪ জন শিক্ষার্থী প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছে। এই শিক্ষার্থীরা আইএসসিপিসি ২০১৯ এর চূড়ান্ত পর্বে আসতে পারবে বলে মনে করছেন ক্যাম্পের আয়োজকেরা। ক্যাম্পটি পরিচালনা করেন বিডিওএসএনের ইএসডিজি প্রোজেক্টের প্রোগ্রাম অফিসার রায়হান ইসলাম, প্রোগ্রাম সমন্বয়ক মুনতাসির মোর্শেদ এবং মেন্টর মাহাদি হাসান।
এই আয়োজনে বিডিওএসএনের প্রধান সহায়ক ইন্টারনেট সোসাইটি, বাংলাদেশ চ্যাপ্টার। এছাড়া সহায়তা করেছে গ্রামীণফোন, এম্বার আইটি এবং ভলেন্টিয়ারস অ্যাসোসিয়েশন ফর বাংলাদেশ।