নিউজ ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ইয়োসেমাইট ন্যাশনাল পার্কের বিস্ময়কর প্রস্তরখণ্ড এল ক্যাপিটানে আরোহন করেছেন ডিয়েরড্রে উলোনিক। ছোটো থেকেই তার স্বপ্ন ছিল এই প্রস্তরখণ্ডের চূড়ায় বসে একদিন সূর্যাস্ত দেখবেন তিনি। দেখবেন তিরতিরে বয়ে যাওয়া নদী, সবুজ গাছগাছালির সারি, চারপাশের অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য। প্রবীণতম ব্যক্তি হিসাবে এল ক্যাপিটান জয় করে নজির গড়লেন ৭০ বছর বয়সী এই নারী।
পর্বতারোহীদের কাছে এল ক্যাপিটান বিশ্বের চূড়ান্ত চ্যালেঞ্জগুলির মধ্যে একটি হিসাবে পরিচিত। ছোটো থেকে পর্বতারোহণের সঙ্গে কোনোরকম সম্পর্ক ছিল না তার। মাত্র দশ বছর আগে রক ক্লাইম্বিং-এ তার হাতেখড়ি। তাকে উৎসাহ জুগিয়েছিলেন তার সন্তান অ্যালেক্স হ্যানল্ড। বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি হিসাবে এল ক্যাপিটানে ফ্রি-সোলো ক্লাইম্বিং করেছিলেন অ্যালেক্স। কোনোরকম দড়ি কিংবা সুরক্ষাব্যবস্থা ছাড়াই আরোহণ করেছিলেন বিশ্বের দুর্গমতম এই পাহাড়ে। সামান্য ভুল হলেও যেখানে মৃত্যু অবধারিত। তার সেই কৃতিত্বকে ক্যামেরাবন্দি করে ‘ফ্রি সোলো’ নামের তথ্যচিত্রও বানিয়েছিল ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক। জিতেছিল অস্কার, বাফটা-সহ একাধিক পুরস্কার। পুত্রের সেই ‘বিশ্বজয়’-ই যেন নতুন করে বাড়িয়ে দিয়েছিল উলোনিকের উৎসাহ।
তবে এই প্রথম নয়। ২০১৭ সালেই এল ক্যাপিটান জয় করেছিলেন তিনি। তখন বয়স ছিল ৬৬ বছর। সেবার ১৩ ঘণ্টার লড়াইয়ের পর এল ক্যাপিটানের চূড়ায় পৌঁছতে পেরেছিলেন তিনি। কিন্তু সূর্যাস্ত দেখার সুযোগ হয়ে ওঠেনি আর। তার আগেই সন্ধে নেমেছিল ইয়োসেমাইট ন্যাশনাল পার্কে। সেই ইচ্ছা মেটাতে সম্প্রতি আবার এল ক্যাপিটান অভিযানে পা বাড়ান উলোনিক। মাত্র ছ’ঘণ্টার মধ্যেই চড়লেন এল ক্যাপিটানের শীর্ষে।
১৯৫৭ সাল পর্যন্ত বিশ্বাস করা হত, কারো পক্ষে এল ক্যাপিটানে আরোহণ করা সম্ভব নয়। প্রযুক্তির উন্নতিতে তিন হাজার ফুট উচ্চতাতে এখন চাইলে দড়ি এবং সেফটি গিয়ারের সাহায্যে আরোহণ করা যায়। তবে সেই কাজ আজও কষ্টসাধ্য।