আইটি ডেস্কঃ ফেসবুকের নাম পরিবর্তন হয়েছে। এখন থেকে ‘মেটা’ হবে ফেসবুকের মাদার প্রতিষ্ঠানের নাম। গতকাল ফেসবুকের বরাত থেকে এসেছে এ ঘোষণা। মার্ক জাকারবার্গ থেকে এমন ঘোষণা আসার পর থেকেই ‘বিদায় ফেসবুক, স্বাগতম মেটা’- এমন স্ট্যাটাস ফেসবুকে নিজেদের ওয়ালে অনেককেই দিতে দেখা যাচ্ছে।
বিষয়টিতে অনেক বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারীরা মনে করছেন ফেসবুক’ অ্যাপসের নামই পরিবর্তন হচ্ছে। অর্থাৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের নাম পরিবর্তন হয়ে ‘মেটা’ হচ্ছে। কিন্তু বিষয়টি আসলে তেমন নয়। জাকারবার্গের ঘোষণা অনুযায়ী, ফেসবুকের আওতাধীন সব সেবা নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি এখন থেকে ‘মেটা’ অধীনে পরিচালিত হবে।
ফেসবুকের করপোরেট নাম পরিবর্তিত হয়ে ‘মেটা’ হলেও এর আওতাধীন সোশ্যাল অ্যাপ ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপ আগের নামেই থাকবে।
মূলত ‘মেটাভার্স’ নামে একটি অনলাইন দুনিয়া তৈরির পরিকল্পনা উন্মোচন করেছেন – যেখানে মানুষ ভার্চুয়াল পরিবেশে ভিআর হেডসেট ব্যবহার করে বিভিন্ন কাজ করার পাশাপাশি, গেইম খেলা এবং যোগাযোগ করতে পারবে।
এক ভিডিও বার্তায় জাকারবার্গ বলেন, “আমরা এখন আমাদের ব্যবসাকে দুটি ভিন্ন অংশ হিসাবে দেখছি, একটি অংশ আমাদের অ্যাপস পরিবারের জন্য এবং আরেকটি অংশ ভবিষ্যতের প্ল্যাটফর্মে কাজের জন্য আর এর অংশ হিসাবে আমাদের সময় এসেছে একটি নতুন কোম্পানি ব্র্যান্ড গ্রহণ করা, যাতে আমরা যা কিছু করি, আমরা কে এবং আমরা কী তৈরি করতে চাই – এই বিষয়গুলোকে প্রতিফলিত করে।”
ফেসবুক কেন তাদের করপোরেট নাম পরিবর্তন করতে যাচ্ছে- তার কয়েকটি কারণ ব্যাখ্যা করেছে কানাডাভিত্তিক প্রযুক্তিবিষয়ক অনলাইন পোর্টাল ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্ট।
গত ২৭ অক্টোবর ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্টে প্রকাশিত ‘সেয়িং বাই টু ফেসবুক: হোয়াই কোম্পানিজ চেঞ্জ দেয়ার নেম’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নাম পরিবর্তনের অন্যতম কারণ হচ্ছে ব্র্যান্ডটির কেলেঙ্কারি ও নেতিবাচক প্রভাব। যার সঙ্গে রয়েছে স্বয়ং জাকারবার্গের সম্পৃক্ততা।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এমনকি সাম্প্রতিক বিভ্রাট ও হুইসেল ব্লোয়িং কেলেঙ্কারির আগে থেকেই ফেসবুক এই সময়ের সবচেয়ে কম বিশ্বস্ত প্রযুক্তি সংস্থা ছিল। মার্ক জাকারবার্গ একসময় সিলিকন ভ্যালির সবচেয়ে প্রশংসিত সিইও ছিলেন। কিন্তু, এসব ঘটনার পর থেকে তার প্রভাব কমেছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, ফেসবুকের নাম পরিবর্তন নিয়ে এসব নেতিবাচক বিষয়গুলো চিহ্নিত করা সহজ হলেও এই পরিবর্তনের পেছনে কিছু নির্দিষ্ট বিষয় জড়িত আছে। যেমন- ফেসবুক স্বীকার করেছে যে গোপনীয়তার সমস্যাগুলো তাদের আয়ের প্রাথমিক উৎসকে ঝুঁকিতে ফেলেছে। এছাড়া, ব্যবহারকারীদের ডেটার ওপর নির্মিত কোম্পানির বিজ্ঞাপন-চালিত মডেলটি প্রতি বছর ক্রমবর্ধমানভাবে তদন্তের আওতায় আসছে।