সমাবেশে বক্তারা বলেন, যেকোন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলার অর্থই হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের ভিত্তিমুলে আঘাত। এই আঘাত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একতাবদ্ধ হয়ে মোকাবিলা করতে হবে। আর তা না হলে মুক্তিযুদ্ধ থাকবেনা, বাংলাদেশ থাকবেনা, আমরা কেউ থাকবোনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে বক্তারা বলেন, আপনি দেশের ১৮ কোটি মানুষের প্রধানমন্ত্রী। আপনি সবার দিকে সমান দৃষ্টি দিবেন এটা আমাদের কাম্য। অন্যান্য অধিকারের মতো বাংলাদেশের সকল মানুষের ধর্মীয় অধিকার সংরক্ষণ করা আপনার দায়িত্ব। সকল মানুষ যেন সবার ধর্মীয় আচরণ নির্বিঘ্নে পালন করতে পারে এটা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
আজকের এই সমাবেশ থেকে বাংলাদেশ সরকারের কাছে যে ৫ দফা বাস্তবায়নের জন্যে আহ্বান জানানো হয় তা হলো
১. বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপুজাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন পুজা মন্ডপে হামলা, প্রতিমা ভাংচুর, বিভিন্ন স্হানে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা ও অগ্নি সংযোগে ক্ষতিগ্রস্তদেরপুনর্বাসন, ক্ষতিপুরণ ও পুর্ন নিরাপত্তার জোর দাবি।
২. দেশে এবারসহ অতীতের সকল সাম্প্রদায়িক দাংঙার জন্য দায়ি ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রত বিচারের মাধ্যমে কঠোর ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির জোর দাবি। সকল সংখ্যলঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা দাবি।
৩. সাম্প্রদায়িক দাংঙার জন্যে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করে অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবী।
৪. অসাম্প্রদায়িক চেতনায় মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতির প্রথম সংবিধান ৭২ এর সংবিধানের ফিরে যাবার দাবি। ৫. মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা গনতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠা করা।