ত্রিদেশীয় সিরিজের উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশ জয়

 আজ শুক্রবার থেকে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান,  জিম্বাবুয়েকে নিয়ে শুরু হয়েছে ত্রিদেশীয় সিরিজ। সিরিজের প্রথম ম্যাচে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখামুখি হয়েছিলো বাংলাদেশ এবং জিম্বাবুয়ে।  বৃষ্টির কারণে নির্দিষ্ট সময়ের দেড় ঘণ্টা পর খেলা শুরু হয়। বিলম্বে খেলা শুরু হওয়ায় ২০ ওভারের পরিবর্তে খেলা নির্ধারিত হয় ১৮ ওভারে। টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়কের সাকিব আল হাসান।
.
এই ম্যাচ দিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক হয় টেস্ট দলের নিয়মিত মুখ তাইজুল ইসলামের। নিজের অভিষেক ম্যাচে খেলতে নেমে খেলার দ্বিতীয় ওভার আর তার প্রথম বলেই ব্রেন্ডন টেইলরকে বিদায় করেন এই বাঁহাতি স্পিনার। তাইজুলের পর মোস্তাফিজুর রহমান ক্রেইগ আরভিনকে সাজঘরে ফেরান। একসময় ৯.২ বলে ৬৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে জিম্বাবুয়ে। এরপর রায়ান বার্লের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় জিম্বাবুয়ে। সাকিব আল হাসানের করা ইনিংসের ১৬তম ওভারে ৩০ রান নিয়ে রীতিমতো ব্যাটিং তাণ্ডব চালান জিম্বাবুয়ের এই ব্যাটসম্যান। এই ওভারেই ২৮ বলে ফিফটি গড়েন রায়ান বার্ল। ষষ্ঠ উইকেটে তিনি টিনো মুটুমবদজিকে সঙ্গে নিয়ে ৫১ বলে ৮১ রানের অবিচ্ছিন্ন রেকর্ড জুটি গড়েন। বার্লের ৩২ বলের অপরাজিত ৫৭ রানে ভর করে নির্ধারিত ১৮ ওভারে ৫ উইকেটে ১৪৪ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে।
.
বাংলাদেশকে ১৪৫ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে দলীয় ৪.৩ ওভারে মাত্র ২৯ রানে লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানের উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর ২৭ রানের ব্যবধানে আউট হয়ে ফিরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে রায়ান বার্লের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিনত হয়ে সাব্বির রহমান। বাংলাদেশ ৯.৩ ওভারে ৬০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে যখন পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে তখন ক্রিজে আসেন উনিশ বছর বয়সি আফিফ হোসেন। চরম বিপর্যয় এবং নিশ্চিত পরাজয় থেকে দলকে বাঁচাতে জুটি গড়েন মোসাদ্দেক হোসেনের সাথে। শেষ পর্যন্ত ৮২ রানে এই জুটি থামলেও বিদায়ের আগে জয়ের ভীত গড়ে দেন আফিফ। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচেই আফিফ তুলে নেন অর্ধশতক। ম্যাচের শেষ ওভারে আউট হবার আগে ২৬ বলে ৫২ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলে দলকে জয় এনে দিয়েছেন এই তরুণ ব্যাটসম্যান। আফিফ তার এই ম্যাচ উইনিং দুর্দান্ত ইনিংসের জন্য ম্যান অব দ্যা ম্যাচের পুরুস্কার জিতে নেন। অন্যদিকে মোসাদ্দেক অপরাজিত ছিলেন ৩০ রান করে। শেষ দিকে মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন ৬ রানে অপরাজিত থেকে বাংলাদেশের তিন উইকেটে জয় নিশ্চিত করেন ।
.
সংক্ষিপ্ত স্কোর
জিম্বাবুয়েঃ ১৪৪/৫ (১৮)
বাংলাদেশঃ ১৪৭/৭ (১৭.৪)
ফলাফলঃ দুই বল হাতে রেখে বাংলাদেশের তিন  উইকেটে জয়।
.
ম্যান অব দ্যা ম্যাচ – আফিফ হোসেন (বাংলাদেশ)
ভেন্যু- শেরে বাংলা ন্যাশনাল স্টেডিয়াম
আম্পায়ারঃ মাসুদুর রহমান এবং শরফুদ্দুলাহ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *