‘মহাকাশে সোনাবৃষ্টি’

 

মহাকাশে অনবরত বৃষ্টির মতো সোনার কণা ঝরছে বলে জানিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এমনকি পৃথিবীতে যত সোনা রয়েছে, সেগুলোও এ ধরনের প্রাচীন মহাজাগতিক সোনাবৃষ্টি থেকেই পাওয়া বলে জানান তাঁরা। আর এর পেছনে রয়েছে কিলানোভা।

 

দুটি নিউট্রন তারার সংঘর্ষ বা কৃষ্ণগহ্বরের সঙ্গে নিউট্রন তারার একত্রীকরণে যে বিস্ফোরণ হয়, তাকে কিলানোভা বলা হয়। এর মাধ্যমে মহাকাশে অনবরত সোনা ও প্লাটিনামের মতো ভারী ধাতু সৃষ্টি হচ্ছে বলে সম্প্রতি গবেষণায় উঠে এসেছে। এসব ধাতু বৃষ্টির মতো ঝরে পড়ছে মহাকাশে। পৃথিবীতে যত সোনা ও প্লাটিনাম রয়েছে, তা প্রাচীন একটি নিউট্রন তারার সংঘর্ষ থেকে পাওয়া। গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে গত মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের মান্থলি নোটিশেস অব দ্য রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি সাময়িকীতে।

 

গবেষকেরা ওই গবেষণায় জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে পৃথিবীর কোনো মহাকাশ টেলিস্কোপে প্রথম একটি কিলানোভা ধরা পড়ে। তখন সেটি কী ছিল, তা বুঝতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। নাসার প্রধান সব টেলিস্কোপেই ঘটনাটি ধরা পড়েছিল। এর মধ্যে নিল গেরেলস সুইফট অবজারভেটরি ও বিখ্যাত হাবল স্পেস টেলিস্কোপ রয়েছে। পরে ২০১৭ সালের আগস্টে আরেকটি কিলানোভা টেলিস্কোপে ধরা পড়ার সময় বিজ্ঞানীরা গামা রশ্মির বিস্ফোরণ লক্ষ করেন।

 

দুই কিলোনোভার পর্যবেক্ষণ মিলিয়েই এবারের গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করেছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। গবেষণাপত্রটির লেখক ও মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী বিজ্ঞানী এলেনোরা ত্রোজা জানান, ২০১৬ ও ২০১৭ সালের কিলানোভার ঘটনার সমস্ত পর্যবেক্ষণ একদম মিলে গিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *