শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ল ১২ জুন পর্যন্ত

নিউজ ডেস্কঃ  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ১২ জুন পর্যন্ত বাড়ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি আমরা নিয়ে রেখেছি। এই সময়ের মধ্যে করোনার নিয়ন্ত্রণ হবে বলে আমরা আশাবাদী। এরপরেই খুলে দিতে পারব।

বুধবার (২৬ মে) দুপুর ১২টায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান শিক্ষামন্ত্রী।

পরীক্ষার ব্যাপারে দীপু মনি বলেন, ২০২১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ৬০ দিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। ২০২২ সালের পরীক্ষা দুটির জন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়ন করা হবে। এসএসসিতে ১৫০ ও এইচএসসিতে ১৮০ দিনের সিলেবাস তৈরি হবে। আগামী জুন মাস থেকে সপ্তাহে দুদিন অ্যাসাইনমেন্ট ক্লাস হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সব শিক্ষার্থীর হাতে ইন্টারনেট নেই। ডিজিটাল ফোন নেই। বৈষম্য তৈরি না হওয়ার জন্য অ্যাসাইনমেন্ট নির্ভর শিক্ষা চালু হয়েছে। প্রথম প্রথম এটি ঝামেলা মনে হলেও কিন্তু এখন এটি বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। এই অ্যাসাইনমেন্ট ক্লাসের কারণে ঝরে পড়ার আশঙ্কা কমে গেছে। প্রায় ৯৩ শতাংশ শিক্ষার্থী এই অ্যাসাইনমেন্ট ক্লাসে অংশ নিয়েছে। তবু এর কার্যকারিতা কতটুকু রয়েছে তার ওপর গবেষণার জন্য সারাদেশের ২ হাজারের কিছু বেশি স্কুলে গবেষণা চলছে। করোনাকালে এই অ্যাসাইনমেন্ট শিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের মাঝে সংযুক্ত রাখতে পেরেছে।

দীপু মনি বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষায় অ্যাসাইনমেন্ট ক্লাস অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে পরিগণিত হবে। টিভি ক্লাসে শুরুতে শিক্ষকরা অভ্যস্ত ছিলেন না। কিছু জড়তা ছিল। এর ফলে গোড়াতে খুব গুছিয়ে ক্লাসগুলো করা যায়নি। এখন সব বিষয়ে নজর দেওয়ার ফলে ক্লাসগুলো ভাল হচ্ছে। টিভি ক্লাসের পাশাপাশি সারাদেশে অনলাইনে ক্লাস শুরু হয়েছে। সেখানেও দুর্বলতা ছিল। এবং দ্রুত দৃর্বলতা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছেন। আমরাও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছি। আগামী মাসে ৫ হাজার শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ডিজিটাল ডিভাইস নিয়ে বৈষম্য রয়েছে। আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি। আগামী মাসে আমরা তথ্য পেয়ে যাব কোন কোন শিক্ষার্থী ডিভাইসের কারণে ক্লাসে অংশ নিচ্ছেন না তার তথ্য পেয়ে যাব। এরপরেই আমরা সমাধানের চেষ্টা করব। করোনার কারণে আমরা খুলতে না পারি, যাইহোক না কেন, শিক্ষার্থীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে নিশ্চিত করতে চাই।

করোনার টিকা নিশ্চিত করেই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মে মাসে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার কথা ছিল। খুলে দিতে হলে আবাসিক হলগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে কিছু চ্যালেঞ্জ ছিল। সেজন্য টিকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে চেয়েছি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ২৫ জানুয়ারিতে ২ লাখ ৯৭ হাজার ৮৩৯ শিক্ষার্থী, ১৫ হাজার শিক্ষক এবং ৩২ হাজার কর্মচারীদের জন্য টিকা চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলাম। এছাড়া আরও কিছু তালিকা পাঠিয়েছি। মাঝখানে টিকার সংকটে তা নিশ্চিত করতে পারেনি। এখন যেহেতু টিকা পাওয়া গেছে সেহেতু আবাসিক হলগুলোতে আবাসিক শিক্ষার্থীদেরকে নতুন টিকাদানের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্যবস্থা করতে যাচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *