নিউজ ডেস্কঃ মার্কিন কংগ্রেসের কমিটি অন ফরেন এ্যাফেয়ার্সের চেয়ারপারসন কংগ্রেসম্যান গ্রিগরি মিকসের জন্য ফান্ড রেইজিং করেছে আমেরিকা বাংলাদেশ চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এবিসিসিআই)।
২৩ এপ্রিল শুক্রবার আমেরিকা বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট গিয়াস আহমেদ এর উদ্যেগে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে ইমিগ্রেশন এল্ডার হোম কেয়ার এলএলসির অফিসে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ইমিগ্রেশনের এল্ডার হোমকেয়ারের সিইও গিয়াস আহমেদ এর সভাপতিত্বে এই ফান্ড রেইজিং মিটিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন এবিসিসিআইর কো চেয়ার শাহনেওয়াজ, আসিফ বারী টুটুল, সোলায়মান ভূইয়া, মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, শাহরিয়ার রহমান, ফাহাদ সোলায়মান রিসফা রহমান, মোঃ কাশেম, পরান চৌধুরী, মোহাম্মাদ এ আজাদ প্রমুখ।
এ সময় বাংলাদেশে ভিজিট করার কথা উল্লেখ গ্রিগরি মিকস বলেন, আমরা বাংলাদেশের গনতন্ত্র, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করতে চাই। আমি বাংলাদেশ ও দেশটির জনগণকে ভালোবাসি। এজন্য আমি স্বপ্রনোদিত হয়ে বাংলাদেশ ভিজিট করেছি।
চট্টগ্রামে জাতিসংঘের অর্থায়নে এশিয়ান ইউম্যান ইউনিভিার্সিটি নামে যে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে সেটা বাংলাদেশ ককাশের উদ্যেগে হয়েছে। ককাস প্রধান যোশেফ ক্রাউলির সঙ্গে আমিও ককাসের অন্যতম উদ্যেক্তা।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার চায় বাংলাদেশ উন্নয়নের সব ক্ষেত্রে এগিয়ে যাক। কিন্তু আজ বাংলাদেশের নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ। সেখানকার মানবাধিকার লংঙ্ঘিত হচ্ছে। বিচার ব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ। গণতন্ত্র ও বিচার ব্যবস্থায় সচ্ছতা, জবাবদিহিতা না থাকলে উন্নয়নের অভিযাত্রা বাধাগ্রস্থ হবে।
এসিসিআইর চেয়ারপারসন ও ইমিগ্রেশন এল্ডার হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট গিয়াস আহমেদ বলেন, মিকস বাংলাদেশর প্রকুত বন্ধু। তিনি কমুউনিটির উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।
গিয়াস আহমেদ সকল প্রবাসী বাংলাদেশীকে মেইন স্টিমের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হবার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে জুইস ভোট, ব্লাক ভোট যদি মেটার হয় তাহলে মুসলিম ভোটও মেটার। কারন প্রতিটি প্রেসিডেন্সিয়াল ইলেকশনে ৪ থেকে ৫ টা সুইং স্টেট আমরা দেখতে পাই। মূলত এই সুইং স্টেটগুলোই ডিসাইট করে কে হবেন পরবর্তী আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। ওই চার পাচটি সুইং স্টেটে কিন্তু অনেক মুসলিম ভোট আছে। মাত্র ৫’শ থেকে ১০ হাজার ভোটের ব্যবধানে ওই রাজ্য ইলেকটোরাল উইন করে।তাই আমরা মুসলিমরা যদি ইউনাইটেড হতে পারি। তাহলে আমরা আগামী নির্বাচনগুলোতে এ দেশের রাজনৈতিক নেতাদের কাছে ফ্যাক্টক হয়ে দাড়াবো।