যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৪৯তম জন্মদিন উদযাপন

 

নিউইয়র্ক : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ নাতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৪৯তম জন্মদিন উদযাপন করেছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ। গত ২৭ জুলাই শুক্রবার রাতে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের তিতাস পার্টি হলে ১২.০১ মিনিটে কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এসময় সজিব ওয়াজেদ জয়ের দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সামছুদ্দিন আজাদ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ। বন্যা দূর্তগতদরে মাঝে ত্রাণ বিতরণ করতে বাংলাদেশে অবস্থান করায় অনুষ্ঠানে টেলিফোনের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সামছুদ্দিন আজাদ, সংক্ষিত বক্তব্যে বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য পুত্র সজীর ওয়াজেদ জয়ের জন্যই আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সরকারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর সুবিধা ভোগে করছে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ। বর্তমানে বাংলাদেশ ৫ম দেশ হিসাবে টেলিকমিউনিকেশন ক্ষেত্রে পরীক্ষামুলক ভাবে ৫জি চালু হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার, জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের ভিশন ৪১ এবং এর সুফল বাংলাদেশে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ ভোগ করা শুরু করেছে। বাংলাদেশ ডিজিটাল হওয়ার কারণে গ্রাম হয়েছে শহর, কৃষি কাজেও উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। স্কাইপ, ইমু, টুইটার, ফেসবুক ও ভাইবারের কথা গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষও জানতে পারছে আজ। দেখতেও পারছে।

অনুষ্ঠানে ড. মাসুদুল হাসান, মুজিবুল মওলা, নুরুল আমিন বাবু, সাখাওয়াত বিশ্বাস, আলী হোসেন গজনবী, আব্দুল হামিদ, জেড এ জয়, জাহাঙ্গীর এইচ মিয়া, জাহিদ হাসান, আল আমিন আকন, কবির আলী, নান্টু মিয়া, শিবলী সাদিক, মাহফুজ হায়দার ও হেলাল মিয়াসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

 

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ নাতি, প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন।  তার বাবা দেশের বিশিষ্ট পরমানু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়া ও মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৭৫এর ১৫ আগস্ট ঘাতক চক্রের হাতে বঙ্গবন্ধু সহপরিবারের নিহত হওয়ার সময় মা শেখ হাসিনা এবং খালা শেখ রেহানার সঙ্গে লন্ডনে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান সবাই। তার শৈশব ও কৈশোর কাটে ভারতে। সজীব ওয়াজেদ জয় পড়াশোনা করেছেন ভারতের নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজ ও তামিলনাড়ুর পালানিহিলসের কোডাইকানাল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে। এরপর তিনি ব্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটারসায়েন্স, পদার্থ এবং গণিতে ব্যাচেলর অব সায়েন্স ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে টেক্সাস ইউনির্ভাসিটি থেকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রি অব সায়েন্স অর্জন করেন। সবশেষে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন তিনি। তার মাধ্যমেই ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বিষয়টি সামনে আসে। পর্দার অন্তরালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে গোটা দেশে তথ্য-প্রযুক্তির বিপ্লব ঘটান এই তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। ২০১৪ সালের ১৭ নভেম্বর সজীব ওয়াজেদ জয়কে অবৈতনিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। তথ্য-প্রযুক্তি, রাজনীতি, সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষ বিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তথ্য-প্রযুক্তির বিকাশ, তরুণ উদ্যোক্তা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের তরুণদের দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করে দেশের কাজে আত্মনিয়োগ করাতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। এ জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে কোনও বেতন গ্রহণ করছেন না তিনি। এপ্রযুক্তিবিদ। ২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সজীব ওয়াজেদ জয়কে তার পিতৃভূমি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ দেওয়া হয়। এর মধ্যদিয়ে তিনি আনুষ্ঠানিক ভাবে রাজনীতিতে আসেন। গত সংসদ নির্বাচনের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেন ও দেশের বিভিন্ন এলাকা সফরের মধ্যে দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মাঝেও বেশভালো প্রভাব সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন। সম্প্রতি টেলিভিশনে তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে ‘লেটস টক’ নামের একটি মতবিনিময় অনুষ্ঠান করে বেশ জনপ্রিয়তা পান তিনি। আইসিটি খাতে বিশেষ দক্ষতার জন্য ২০০৭ সালে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ইয়াং গ্লোবাল লিডারঅ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন সজীব ওয়াজেদ। এছাড়াও ২০১৬ সালে তিনি অর্জন করেন আইসিটি ফর ডেভেলপামে

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *