কবি-সাহিত্যিক সুলতানা ফেরদৌসি নিউইয়র্কে

নিউইয়র্ক: বাংলা সাহিত্যাঙ্গনের অন্যতম জনপ্রিয় কবি ও সাহিত্যিক সুলতানা ফেরদৌসি। কবি-লেখক সুলতানা তার চমৎকার লেখনী ও সৃষ্টিশীলতার মাধ্যমে সাহিত্য অঙ্গনে সবার নজর কেড়ে নিয়েছেন। তার বৈচিত্রময় লেখনিকে সামনে রেখে তিনি এগিয়ে চলছেন প্রতিনিয়ত। ১৯৯৭ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ “কীট ও দ্রোণপুষ্প” প্রকাশের মাধ্যমে যে পথচলার শুরু তিনি করেছিলেন গত ২২ বছর ধরে সে পথ ধরে লেখালেখি করতে করতে তিনি পেরিয়ে এসেছেন বহু বাধা বিপত্তি ও জীবনের নানা বাক। লেখালেখিকেই তিনি করেছেন তার ধ্যানজ্ঞান। পারিবারিক জীবনের সবকিছু ঠিক রেখেও তিনি সফলতার সাথে বাংলা সাহিত্যকে উপহার দিয়ে যাচ্ছেন নতুন নতুন কবিতা, উপন্যাস, ছোট গল্প।
লেখালেখির পাশাপাশি সুলতানা ফেরদৌসি লেখাপড়াও চালিয়ে গেছেন সমান্তরালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজকর্মে মাস্টার্স করে তিনি ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের কমিউনিটি ডেভলপমেন্ট অফিসার হিসেবে কাজ করেছেন অনেকদিন। একই সাথে তিনি অংশ নিয়েছেন নানা ধরনের সামাজিক কার্যক্রমে। নারী মুক্তি ও নারী অধিকার আন্দোলনের সাথে তিনি যুক্ত আছেন ওতপ্রোতভাবে। আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউনিসেফ ও এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতাও রয়েছে তার। মনে প্রাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজে তার এ অবদান প্রশংসনীয়।
গত ১৪ই ডিসেম্বর নিউইয়র্ক এর বাংলা বই এর প্রকাশনী প্রতিষ্ঠান মুক্তধারার পক্ষ থেকে জ্যাকসন হাইটস, নিউইয়র্কে কবি-সাহিত্যিক সুলতানা ফেরদৌসির সম্মানে আয়োজন করা হয় একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের। চলমান কোভিড-১৯ প্যানডামিকের কথা মাথায় রেখে অনুষ্ঠানটিকে ঘরোয়াভাবেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়। এসময় নিউইয়র্ক প্রবাসী বাঙালি কমিউনিটির পক্ষ থেকে তাকে সম্মানিত করার পাশাপাশি তার রচিত কবিতা নিয়ে আয়োজন করা হয় একটি কবিতা সন্ধ্যার। এসময় মিস ফেরদৌসি তার রচিত “বৃক্ষেরা ভিজে যায়” ও “অরণ্যে ফিরে আসি” কাব্যগ্রন্থ দুটি থেকে কবিতা পাঠ করেন। এসময় সুলতানা তার লেখালেখি নিয়েই থাকতে চান বলে জানান। অনুষ্ঠানের আয়োজক মুক্তধারার প্রেসিডেন্ট বিশ্বজিত সাহা জানান সুলতানা ফেরদৌসিকে নিউইয়র্কবাসী বাঙালিরা সতস্ফুর্তভাবে গ্রহণ করেছে। তার উপস্থিতি প্রবাসী বাঙালিদের জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলেই বিশ্বজিত সাহার ধারণা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *