নিউইয়র্কে বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নানের বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা

নিউইয়র্কে বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান, এমপিকে গণ সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে গত ১৩ জুলাই শনিবার। মন্ত্রী এমএ মান্নানের যুক্তরাষ্ট্রে আগমন উপলক্ষে তার সম্মানে এ সংবর্ধনার আয়োজন করে আমেরিকান-বাংলাদেশী ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন ইনক এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী জগন্নাথপুর ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলাবাসী। শনিবার সন্ধ্যায় ব্রঙ্কসের ১৩১৫ ওলমস্টেড এভিনিউর সেইন্ট হেলেনা চার্চের হল রুমে এ সংবর্ধনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান প্রবাসীদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার সচেষ্ট রয়েছে বলে তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।

 

 

আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও আমেরিকান-বাংলাদেশী ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন ইনকের প্রেসিডেন্ট আবদুস শহীদের সভাপতিত্বে এবং আয়োজক কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী জামাল হুসেন ও যুগ্ম সদস্য সচিব শাহিন কামালীর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর লুইস সিপুলভেদা, নিউইয়র্ক বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুন্নেছা, জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা’র সভাপতি বদরুল হোসেন খান, কুইন্স ডেমোক্রেটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার এট লার্জ এটর্নি মঈন চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ড. প্রদীপ রঞ্জণ কর, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমএ সালাম, সহ-সভাপতি সৈয়দ বসারত আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ (উপজেলা চেয়ারম্যান), আব্দুর রহিম বাদশা ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক মিসবাহ আহমেদ, অয়েল কেয়ার হেলথ প্ল্যানের সিনিয়ার ম্যানেজার সালেহ আহমেদ, স্টারলিং-বাংলাবাজার বিজনেস এসোসিয়েশন এবং বাংলাবাজার জামে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ গিয়াস উদ্দিন, বাংলাদেশী-আমেরিকান কমিউনিটি কাউন্সিলের সভাপতি মোহাম্মদ এন মজুমদার, আমেরিকান-বাংলাদেশী ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন ইনকের সহ সভাপতি রফিকুল ইসলাম ও এডভোকেট নাসির উদ্দিন, আয়োজক কমিটির উপদেষ্টা ছদরুন নূর, ইকবাল আহমেদ মাহবুব, আবদুল মুহিত ও জুসেফ চৌধুরী, যুগ্ম আহ্বায়ক একে এম রহমান কামাল ও মির্জা রশিদ মামুন, সদস্য সচিব জামাল আহমেদ, সদস্য আমিনুল হক চুন্নু, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দিন আহমেদ সোহাগ, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট হাসান আলী, এক্লিমুজ্জামান নুনুই, নূরে আলম জিকু, এডভোকেট আলাউদ্দিন সহ কমিউনিটির নের্তৃবৃন্দ। পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন বাংলাবাজার জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আবুল কাশেম এয়াহইয়া।

 

 

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এমএ মান্নানকে নিউইয়র্ক স্টেট সিনেট ও সিটি কাউন্সিল প্রক্লেমেশন প্রদান করা হয়। স্টেট সিনেটর লুইস সিপুলভেদা মন্ত্রী এমএ মান্নানের হাতে প্রক্লেমেশন তুলে দেন। এছাড়াও আমেরিকান-বাংলাদেশী ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন ইনকের পক্ষ থেকে মন্ত্রীকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। আয়োজক সহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান হয় সংবর্ধিত অতিথিকে। পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান, এমপিকে মানপত্রও প্রদান করা হয়। মানপত্রটি পাঠ করেন আয়োজক কমিটির সদস্য শামীম আহমেদ। অনুষ্ঠানে কমিউনিটি সেবা ও মূলধারায় বিশেষ অবদানের জন্য প্রবাসী জগন্নাথপুর উপজেলাবাসীর পক্ষ থেকে আমেরিকান-বাংলাদেশী ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন ইনকের প্রেসিডেন্ট আবদুস শহীদকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এর আগে সজ্জন রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান অনুষ্ঠান হলে এসে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান আয়োজক কমিটির নের্তৃবৃন্দ। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী জগন্নাথপুর ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলাবাসী সহ বাংলাদেশী কমিউনিটির বিপুল সংখ্যক প্রবাসী সংবর্ধনা সভায় যোগ দেন।

 

 

সভায় পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান তার বক্তব্যে বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকান্ডের বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরেন। তিনি এসময় সিলেট বিমান বন্দর থেকে সরাসরি ফ্লাইট চালু, নিজ এলাকাসহ বৃহত্তর সিলেটের উন্নয়ন কর্মকান্ডসহ অন্যান্য বিষয়ও উল্লেখ করেন।

 

 

তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রয়েছে প্রবাসীদের। সব সময় প্রবাসী বাংলাদেশীরা সহযোগিতা করে আসছে। সরকারও প্রবাসীদের স্বার্থ রক্ষায় সচেষ্ট রয়েছে।

এসময় মন্ত্রী বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নের মাধ্যমে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছাতে নিরলসভাবে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সরকারের নানামুখি উন্নয়নের কর্মকান্ড তুলে ধরে বলেন, গণতান্ত্রিক সুশাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, অর্থনীতি, তথ্যপ্রযুক্তি, যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিস্ময়কর উন্নতি বাংলাদেশকে আজ একটি নি¤œমধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরীত করেছে। যা আগামী ২০২১ এ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ এ উন্নত দেশের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করবে।

 

 

বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল উল্লেখ করে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং এগিয়ে যাবে। দেশে খাদ্যের অভাব নেই, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে, সবাই শান্তিতে আছেন।

 

 

তিনি বলেন, সিলেট থেকে সরাসরি বিমান ফ্লাইট চালুর কাজ চলছে। বিমান উড়তে গেলে যে রানওয়ের প্রয়োজন সেটি এখনও তৈরী হয়নি সিলেটে। তাছাড়া সিলেট থেকে জ্বালানি সংগ্রহের ব্যবস্থাও প্রয়োজন। একাজগুলো সম্পন্ন হলেই, সিলেট থেকে সরাসরি উড়বে

 

 

বিমানের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। বিমানের ঢাকা-নিউইয়র্ক ফ্লাইট চালুর বিষয়েও সরকারের প্রচেষ্টা রয়েছে। সিলেটে সড়ক উন্নয়নে ব্যাপক কাজ চলছে বলেও তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *