আট জুলাই বুধবার ছিল আটলান্টিক সিটি ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বসবাসরত দ্বাদশ গ্রেডের শিক্ষার্থীদের জন্য স্বপ্নপূরনের দিন। আটলান্টিক সিটি হাই স্কুলে দ্বাদশ শ্রেণীতে অধ্যয়নরত প্রায় চার শতাধিক শিক্ষার্থীর গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হল আটলান্টিক সিটি স্কুল এর খেলার মাঠে। তাদের মধ্যে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কম নয়। করোনাকালে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্হ্য বিধি মেনে তিন পর্বে এই গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা গ্র্যাজুয়েশন গাউন পরে পরিবারের সদস্যদের সাথে অনুষ্ঠানস্থলে সমবেত হতে থাকে। তাদের সবার শরীরি ভাষায় চার বছরের কঠোর পরিশ্রম শেষে প্রাপ্তির পূর্ণতা, চোখে-মুখে খুশির আনন্দ ঝিলিক। অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার পর কৃতি শিক্ষার্থীদের নাম ঘোষনার সাথে সাথে তুমুল করতালিতে গমগম করে ওঠে বিশাল মাঠ। পূর্বসূরি বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় এবারও উওরসূরী বাংলাদেশী আমেরিকান শিক্ষার্থীদের জয়জয়কার। আর এই জয়জয়কার অবস্থার মধ্যে আপন আলোয় উদ্ভাসিত বাংলাদেশী আমেরিকান শিক্ষার্থী শেখ নাহিয়ান, তৌসিফ জামান, ওয়াহিদুল মেহেদী, আজার জেসমিন ও আরাফাত রহমান।তারা মেধার স্বীকৃতিস্বরূপ মেধা তালিকার সেরা দশে গৌরবজনক স্থান লাভ করার গৌরব অর্জন করেছে।
আটলান্টিক সিটি হাই স্কুল এর অধ্যক্ষ ড: লা কুয়েটা এস স্মল এর নেতৃত্বে স্কুলের অন্যান্য অধিকর্তা ও আটলান্টিক সিটি স্কুল বোর্ড সহ সভাপতি ফারুক হোসেন, স্কুল বোর্ড সদস্য সুব্রত চৌধুরী মঞ্চে আসন গ্রহন করেন। এরপর শিক্ষার্থীরা শোভাযাএা সহকারে এসে খেলার মাঠে নিজ নিজ আসন গ্রহন করে।
যুক্তরাষট্রের জাতীয় সংগীত পরিবেশন শেষে স্কুল অধ্যক্ষ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উদ্দীপনামূলক বক্তব্য রাখেন। এরপর শিক্ষার্থীরা সারিবদ্ধভাবে মঞ্চে এসে ডিপ্লোমার রেপ্লিকা গ্রহন করে। এসময় তাদের অভিবাবকরা তুমুল করতালি ও উল্লাস ধ্বনির মাধ্যমে তাদের অভিনন্দিত করেন। প্রায় দেড় ঘন্টা ব্যাপী গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান এর সমাপনী শেষে শিক্ষার্থীরা অভিবাবক ও বন্ধু- বান্ধবদের সাথে ফটোসেশনেব্যস্ত হয়ে পড়ে।
এরপর তারা দহনকালেও একরাশ সুখ স্মৃতি নিয়ে নীড়ে ফিরে যায়। আটলান্টিক সিটি স্কুল বোর্ড সহ সভাপতি ফারুক হোসেন, স্কুল বোর্ড সদস্য সুব্রত চৌধুরী গ্র্যাজুয়েটদের অভিনন্দন জানান। উল্লেখ্য, আটলান্টিক সিটি স্কুল বোর্ড সদস্যরা গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান এর বিভিন্ন পর্বে অংশগ্রহন করেন।