নিউইয়র্ক সিটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুই প্রবাসী বাংলাদেশি ৮০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে নিউইয়র্ক এবং নিউজার্সি অঞ্চলে করোনায় ৮৮ বাংলাদেশির মৃত্যু হলো।
৭ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হয়ে নিউইয়র্ক সিটির ব্রুকলীনে প্রবাসী বাংলাদেশি আকমল হোসেন ঠান্ডু (৬০) এবং কুইন্সে শাহনূর রহমান (৬০) মারা যান। নিহতদের স্বজনেরা জানান, হাসপাতাল থেকে বাসায় পাঠিয়ে দেওয়ার পরই তারা নিজ ঘরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ঠান্ডু পাবনার সুজানগরের এবং শাহনূর রাজধানী ঢাকার ঝিগাতলার অধিবাসী ছিলেন।
নিউইয়র্ক সিটি মেয়র বিল ডি ব্লাসিয়ো রোগী বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে বলেছেন, চিকিৎসার জন্যে যথাযথ সামগ্রী না থাকায় মুমুর্ষু রোগীদের বাসায় পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। তারা নিজ বাসায় মারা যাবার পর সিটির স্বাস্থ্য বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাবার তথ্য লিপিবদ্ধ হচ্ছে না।
নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের গভর্নর এ্যান্ড্রু ক্যুমো জানিয়েছেন, নিউইয়র্কের কোন হাসপাতালেই আইসিইউ খালি না থাকায় অনেককেই রিলিজ দেয়া হচ্ছে। গভর্নর বলেন, ভ্যাণ্টিলেটরসহ চিকিৎসা-সামগ্রির সংকটের এ তথ্য আমরা ফেডারেল প্রশাসনকে অবহিত করেছি আগে থেকেই।
নিউইয়র্কে ‘সাউথ এশিয়ান ফান্ড ফর এডুকেশন, স্কলারশিপ এ্যান্ড টেনিং’ (স্যাফেস্ট)’র প্রধান নির্বাহী মাজেদা এ উদ্দিন জানান, গতকাল লং আইল্যান্ড জুইশ হাসপাতাল থেকে কেএম মনিরুল ইসলাম (৫৬), কুইন্স হাসপাতাল থেকে এনওয়াইপিডির সিরাজুল ইসলাম (৪৫) এবং সাইদুর রহমান (৩৪), মাউন্ট শিনাই হাসপাতাল থেকে রীনা আকতার (৪০) এবং এনওয়াইইউ থেকে নিলুফার ইয়াসমীন (৪৮) কে অসুস্থ অবস্থায় রিলিজ দেয়া হয়েছে। মাজেদা এ উদ্দিন জানান, এর আগেও আরো অন্তত: ৩১ বাংলাদেশিকে রিলিজ দেয়া হয় বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে, যারমধ্যে অন্তত ৫ জন মারা গেছেন ইতিমধ্যেই।