বসন্ত ও ভালোবাসা দিবস: জগন্নাথপুরে ফুলের বাজারে ‘আগুন’

 

 

বাংলা বর্ষপঞ্জিতে সংশোধনের কারণে এখন থেকে বাংলা ফাল্গুন মাসের প্রথম দিন ও বিশ্ব ভালবাসা দিবস। এতদিন ফেব্রুয়ারি মাসের ১৩ তারিখে ফাল্গুন মাসের প্রথম দিন পালিত হতো, আর ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্বজুড়ে পালন হতো ভালবাসা দিবস। তবে এখন থেকে দুটি দিবসই বাংলাদেশে একই দিনে পড়বে। গত বছর ২৮ অক্টোবর মন্ত্রীপরিষদের এক বৈঠকে ২০২০ সালের সরকারি ছুটির তালিকার অনুমোদন দেওয়া হয়।

 

মাঘ মাস বিদায়। শুক্রবার(১৪ ফেব্রুয়ারি) ফাল্গুগুন মাসের প্রথম দিন। বসন্তে এ আগমনী দিনেই এবার পালিত হচ্ছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। এ অবস্থায় লাল ও হলুদিয়া সহ নানা রঙের ফুলে সেজেছে পৌর সদরের বিভিন্ন ফুলের দোকান। ফুল কিনতে ভিড়ও শুরু হয় সকাল থেকে চাপ বেশি হওয়ায় বিক্রেতারা ফুলের দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনগুণ এমন অভিযোগ ক্রেতাদের। পৌর সদরের বিভিন্ন পুলের দোকান ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন ফুলের মালা তৈরি করছেন দোকানিরা, তৈরি মালা ও গোলাপ সহ বিভিন্ন জাতের ফুল বিক্রি করছেন তারা, আর ফুলের বিভিন্ন আইটেম যেমন চাররঙ্গা , গ্লেডিওলাছ গোলাপ, কেলেনডুলা, জারবেরা, জিপসি, গাদাফুল, রজনীগন্ধা ফুলের পসর সাজাতে হয়েছে। অনেকে আজকেই বাসন্তী রঙের শাড়ি পড়ে ফুলের দোকানে আসছেন, ফুল কিনছেন।

 

 

 

 

 

ক্রেতারা জানান, ভালবাসা দিবস উপলক্ষে ফুল কিনতে এসেছিলাম আগে ফুলের যে দাম ছিল, তারচেয়ে দুই থেকে তিনগুণ বেশি দাম চাচ্ছেন দোকানদারা। সেজন্য একটু হিমশিম খাচ্ছি, ফুল কীভাবে কিনব। কারণ, যে বাজেট ছিল তার চেয়ে বেশী দামে ফুল কেনার কারণে ফোঁসাতে পারছিনা। তারপরও কিছু করার নেই। অল্প হলেও ফুল নিতে হবে।

 

বিক্রেতারা জানান, শুক্রবার বসন্ত বরণ ও ভ্যালেন্টাইনস ডে এদিন অনেক ধরনের ফুলের আইটেম প্রয়োজন থাকায় পাইকারি ভাবেই অনেক বেশী দামে ফুল কিনতে হয় তাই একটু বেশী দামে বিক্রিও করতে হয়। তবে স্বাভাবিকের চেয়ে ফুলের দাম অনেক বেশি। এই সময় ১০০টি লাল গোলাপ পাইকারিতে ২৫০০ থেকে ২৮০০ টাকায় কিনতে হয়। ১০০টি গোলাপ মান ভেদে ২৮০০ টাকা পর্যন্ত কিনতে হয়েছে, ফুলের দাম বেশি হলেও তেমন ক্রেতা মিলছে না বলে দাবি করেন এই পুলের দোকানি। তিনি বলেন গত বছরের তুলনায় এবার ফুল কম বিক্রি হচ্ছে। তবে ফুলবিক্রির বিকালে বাড়তে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *