উত্তর কোরিয়ার মাটিতে পা রাখলেন ট্রাম্প

প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে উত্তর কোরিয়ার মাটিতে পা রাখলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। রোববার উত্তর কোরিয়ার সীমান্তে পা রাখার পর প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প বলেছেন, ‘এটা বিশ্বের জন্য অনেক বড় একটি দিন এবং এখানে আসা আমার জন্য সম্মানের।’

 

শনিবার সকালে জাপান সফরকালে টুইটবার্তায় উনের সঙ্গে বৈঠকের আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন ট্রাম্প। তিনি বলেছিলেন,দক্ষিণ কোরিয়া সফরের সময় উনের সঙ্গে তিনি হাত মেলাতে চান এবং তাকে হ্যালো বলতে চান। রোববার সিউল সফরের সূচনায় উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তবর্তী গ্রাম পানমুনজমে  উনের সঙ্গে বৈঠকের কথা ঘোষণা করেন ট্রাম্প।

 

কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে উত্তর কোরিয়ার মাটিতে ট্রাম্পের পা রাখাকে  বড় ধরণের কূটনৈতিক সফলতা হিসেবে আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। ১৯৫০-৫৩ সালে মিত্র দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যে সীমারেখায় উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র, সেখানে দাঁড়িয়ে উনের সঙ্গে করমর্দন করেছেন ট্রাম্প। দ্বিতীয় দফায় করমর্দনের আগে ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার সীমান্তের ভেতরে কয়েক কদম হেঁটে আবার ফিরে আসেন। এর আগে উন ও ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তের ভেতরে দাঁড়ান এবং ছবি তোলার সুযোগ করে দেন।

 

দুই কোরিয়ার মধ্যবর্তী অসামরিকৃত এলাকায় উনের সঙ্গে বৈঠকের আগে ট্রাম্প বলেন, ‘ওই সীমারেখায় পা দিতে পেরে আমি গর্বিত। এটা বিশ্বের জন্য অনেক বড় একটি দিন এবং এখানে আসা আমার জন্য সম্মানের। অনেক বড় বড় জিনিস ঘটছে।’

 

তিনি বলেন, ‘এটা অনেক সম্মানের। অনেক উন্নতি হয়েছে। বিশেষ করে এটা মহান বন্ধুত্ত্ব।’

 

এর  জবাবে কিম জং উন বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি এটা দুর্ভাগ্যজনক অতীত মুছে ফেলার এবং নতুন ভবিষ্যতের স্বদিচ্ছা।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *