খামেনির ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনিসহ দেশটির শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার হোয়াট হাউসে এ সংক্রান্ত একটি নিষেধাজ্ঞাপত্রে সাক্ষর করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে গত শনিবার তিনি ইরানের ওপর ‘গুরুতর নিষেধাজ্ঞা’ আরোপের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

 

এএফপির প্রতিবেদন বলা হয়, ডোনাল্ড ট্রাম্প এই নিষেধাজ্ঞাকে ইরানের প্রতি ‘শক্ত ও উচিত জবাব’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো ধরনের দ্বন্দ্ব চাই না। এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি ইরানের ওপর নির্ভর করছে। ইরান চাইলে আগামীকালই এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হতে পারে…আর তা না হলে এখন থেকে এটি বছর থেকে বছর চলবে।’

 

নতুন নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফকে ও দেশটির এলিট ফোর্স রেভল্যুশনারি গার্ডের শীর্ষ আট কর্মকর্তাকে কালো তালিকাভুক্ত করতে যাচ্ছে। ট্রাম্প বলেন, ইরান কখনো পারমাণবিক অস্ত্রের মালিক হতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্র এটাই চায়। এটা এখন ইরানের ভাবনার বিষয়।

 

এর আগে রোববার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইরানের এক জ্যেষ্ঠ সামরিক কমান্ডারের হুঁশিয়ার জবাবে বলেন, যুদ্ধ নয়, বরং চলমান সংকট নিরসনে ইরানের সহায়তা চায় যুক্তরাষ্ট্র। তেহরানের সঙ্গে কোনো যুদ্ধে জড়াতে চায় না তাঁর দেশ। ট্রাম্পের মন্তব্য, পারস্য অঞ্চলে যেকোনো সংঘর্ষ অনিয়ন্ত্রিতভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এর ফলে এ অঞ্চলে অবস্থানরত মার্কিন সেনাদের জীবন হুমকির মুখে পড়বে।

 

ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। উপসাগরীয় এলাকায় তেলবাহী ট্যাংকারে হামলা ও ড্রোন ভূপাতিত করার ঘটনায় ইরানকে দায়ী করে গত শনিবার নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে নিষেধাজ্ঞা কী ধরনের, সে ব্যাপারে তিনি কিছু জানাননি। এদিকে ইরান তেলবাহী ট্যাংকারে হামলার কথা অস্বীকার করলেও মার্কিন সামরিক ড্রোনের আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে তা ভূপাতিত করার কথা স্বীকার করেছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *