হংকং ও ম্যাকাওয়ে বিদেশি শক্তিকে হস্তক্ষেপ করতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। শুক্রবার ম্যাকাওয়ে নতুন সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
শি বলেন, ‘আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, মাতৃভূমির কাছে হংকং ও ম্যাকাও ফিরে আসার পর, এই দুই প্রশাসনিক অঞ্চল পুরোপুরিভাবেই চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে, এগুলো মোটেও বিদেশি শক্তিগুলোর বিষয় নয়। আমরা কোনো বাইরের শক্তিকে এখানে হস্তক্ষেপ করতে দেবো না।’ ১৯৯৯ সালের ২০ ডিসেম্বর পর্তুগাল ম্যাকাওকে বেইজিংয়ের কাছে ‘এক দেশ দুই নীতির আওতায় হস্তান্তর করে। শুক্রবার অঞ্চলটির সঙ্গে চীনের আনুষ্ঠানিক মেলবন্ধনের ২০ বছর পূর্তিও হয়েছে।
শুক্রবারের অনুষ্ঠানে কালো স্যুট ও মেরুন রংয়ের টাই পরিহিত শি ম্যাকাউয়ের নতুন নির্বাহী হো লাত-সেং ও তার প্রশাসনকে শপথ পড়ান। বেইজিংপন্থি এই প্রশাসনই আগামী পাঁচ বছর ম্যাকাওকে শাসন করবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ এই অঞ্চলটির অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসাও শোনা যায় চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) এই শীর্ষ নেতার মুখে।
শি বলেন, ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থায় ম্যাকাউয়ের সফলতার পেছনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল তাদের দেশপ্রেম।’ অনুষ্ঠানে চীনের প্রেসিডেন্ট ম্যাকাওয়ের অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করলেও ছয় মাস ধরে বিক্ষোভ চলা হংকং প্রসঙ্গে সুনির্দিষ্ট কিছুই বলেননি।
জুনে বিতর্কিত এক বহিসমর্পণ বিল নিয়ে শুরু হওয়া এ বিক্ষোভ এশিয়ার অন্যতম ব্যবসায়িক কেন্দ্র হংকংয়ের প্রবৃদ্ধি শ্লথ করে দিয়েছে। বেইজিং চীনের এই বিশেষ স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটির স্বাধীনতা খর্বের চেষ্টা করে যাচ্ছে বলে বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করলেও, ম্যাকাও এখনো অনেকটাই শান্ত। চীন তাদের বিরুদ্ধে হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থিদের ধারাবাহিক অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। বেইজিংয়ের অভিযোগ, বিদেশি শক্তি বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মদদে হংকংয়ে অস্থিরতা ও বিক্ষোভ ছড়িয়েছে। সূত্র: রয়টার্স