আদালতে মিয়ানমারকে গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানালো গাম্বিয়া

 

জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার শুনানিতে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতন-নিপীড়ন, ধর্ষণ, তাদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, শিশুদের ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যার বিবরণ তুলে ধরেছে গাম্বিয়া।

 

মঙ্গলবার গাম্বিয়ার করা মামলার প্রথম দিনের শুনানি ছিল। এদিন আদালত গাম্বিয়ার আইনি দলকে বক্তব্য উপস্থাপনের নির্দেশ দেয়। গাম্বিয়ার বক্তব্য উপস্থাপনের সময় আদালতে উপস্থিত মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি ছিলেন নির্বিকার।

 

গাম্বিয়ার আইনমন্ত্রী আবু বকর তাম্বাদু সূচনা বক্তব্যে বলেন, ‘মিয়ানমারকে এ ধরনের অবিবেচনাপ্রসূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করার কথা বলার জন্য আপনাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে গাম্বিয়া’।

 

তিনি বলেন, ‘এই বর্বর কর্মকাণ্ড এবং যে নৃশংসতা আমাদের সম্মিলিত বিবেককে নাড়া দিয়েছে ও নাড়া দেওয়া অব্যাহত রেখেছে তা বন্ধ, নিজেদের জনগণকে হত্যা বন্ধের’ আহ্বান জানাচ্ছি।

 

গাম্বিয়ার পক্ষে আইনজীবী অ্যান্ড্রিউ লোওয়েনস্টেইন জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনে দেওয়া প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ তুলে ধরেন। এর মধ্যে রাখাইনের মিন গি গ্রামের কথা বলেন তিনি। এই গ্রামটিতে প্রায় ৭৫০ জনকে হত্যা করেছিল সেনাবাহিনী, যাদের মধ্যে ছয় বছরের কম বয়সী শিশু ছিল শতাধিক।

 

আগামীকাল স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় আদালতের দ্বিতীয় দিনের শুনানি শুরু হবে। এদিন মিয়ানমার যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করবে। মিয়ানমার নেত্রী সু চি তার দেশের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উত্থাপিত গণহত্যার অভিযোগ যে অস্বীকার করবেন তা নিশ্চিত। তবে এর পাশপাশি তিনি ২০১৭ সালে রাখাইনে সেনা অভিযানের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *