সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ সড়কে বিআরটিসি চলাচল নিয়ে পরিবহন মালিকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। রাস্তার উপর কাউন্টার বসিয়ে বাস সার্ভিস চালু করায় সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিরও আশঙ্কা করছেন তারা। এছাড়া রাস্তার উপরের হাই ভোল্টেজ বিদ্যুতের তার দ্বিতল বাসে লেগে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটারও আশঙ্কা রয়েছে তাদের। সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায়েরও অভিযোগ উঠেছে বিআরটিসির বিরুদ্ধে।
শনিবার সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ সড়কে বিআরটিসির দ্বিতল বাস সার্ভিস চালু করা হয়। বাস সার্ভিসের উদ্বোধন করেন প্রবাসী কল্যান ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
বিআরটিসি বাস চালুর পর থেকে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে এ সড়কের বাস মালিকদের। বিআরটিসির আইন অমান্য ও যাত্রীসেবার কথা চিন্তা না করে সরকারি বাস রাস্তায় নামানো হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন তারা।
পরিবহন মালিকদের অভিযোগ, বিআরটিসি বাস ডিপো থেকে ডিপো চলাচলের নিয়ম থাকলেও তা মানা হচ্ছে না সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ সড়কের ক্ষেত্রে। আম্বরখানা সরকারি কলোনির ফুটপাতের উপর কাউন্টার বসিয়ে পরিচালনা করা হচ্ছে বিআরটিসি বাস। বাস রাখারও নেই নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড। ফলে আম্বরখানা সরকারি কলোনি স্কুল ও মসজিদের সামনে বাস দাঁড় করিয়ে যাত্রী উঠানামা করাতে হচ্ছে। এতে স্কুলে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। মসজিদে নামাজ আদায়েও বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন মুসল্লীরা।
ফুটপাতের উপর কাউন্টার বসিয়ে পরিচালনা করা হচ্ছে বিআরটিসি বাস।
সিলেট-সালুটিকর-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ-গোয়াইনঘাট-হাদারপাড় বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি রিমাদ আহমদ রুবেল সিলেটভিউকে জানান, বিআরটিসি বাসের নিজস্ব কোন কাউন্টার নেই। যাত্রীদের জন্য কোন বিশ্রামাগারও নেই। ফলে যাত্রীরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এতে আম্বরখানা সরকারি কলোনি স্কুলের সামনে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যাত্রীরাও মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
বিআরটিসি বাস বেশি ভাড়া আদায় করছে দাবি করে রুবেল বলেন, সরকার প্রতি কিলোমিটারের জন্য ১ টাকা ৪২ পয়সা ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ সড়কে চলাচলকারী বিআরটিসি বাস বেশি ভাড়া আদায় করছে।
সিলেট থেকে কোম্পানীগঞ্জ ৩২ কিলোমিটার দূরত্বের জন্য বিআরটিসি আদায় করছে ৫০ টাকা ভাড়া। অথচ সরকারি হিসেব মতে ৪৫ টাকা ভাড়া হওয়ার কথা। একইভাবে তারা সিলেট-ভোলাগঞ্জের যাত্রীদের কাছ থেকে ১ টাকা ৪২ পয়সার স্থলে কিলোমিটার প্রতি ১ টাকা ৬২ পয়সা ভাড়া আদায় করছে।