রোববার দিল্লিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-ভারত প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে চোখ রেখেছিল বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। সেটার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ম্যাচ রেফারি রঞ্জন মাদুগালে, মাঠের আম্পায়ার নিতিন মেনন ও নন্দন, টিভি আম্পায়ার চেত্তিথোদি শামসউদ্দিন ও রিজার্ভ আম্পায়ার অনীল চৌধুরী। এদিন মাঠে উপস্থিত থেকে তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখেছিল আইসিসির কর্মকর্তাগণ।
অবশ্য সেটা সেখানকার তীব্র বায়ু দূষণের বিষয়টি নিয়ে। যদি পরিস্থিতির উন্নতি না হত তাহলে ম্যাচটি বাতিলও হতে পারত। যদিও কোনো ঝামেলা ছাড়াই ম্যাচটি শেষ হয়েছে এবং বাংলাদেশ ভারতের বিপক্ষে তাদের প্রথম টি-টোয়েন্টি জয় পেয়েছে। তবে এখানেই শেষ নয়। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামের ভাগ্যে কী অপেক্ষা করছে সেটা জানা যাবে ম্যাচ রেফারির দেওয়া রিপোর্টে। রেফারি যদি নেতিবাচক রিপোর্ট দেন তাহলে ভবিষ্যতে হয়তো এই স্টেডিয়ামে এই মৌসুমে আর কোনো ম্যাচ নাও হতে পারে।
এখনো জানা যায়নি রঞ্জন মাদুগালে তার রিপোর্টে কী লিখেছেন। তবে দিল্লি জেলা ক্রিকেট সংস্থা (ডিডিসিএ) আশা করছে হয়তো ভালো প্রতিবেদনই দিবেন। কারণ, মাঠ এবং দূষণ নিয়ে কেউ-ই কোনো বিরূপ মন্তব্য করেননি। যদিও সেদিন দিল্লির একিউআই (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) ছিল ৯০০ এর উপরে। যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।
তাইতো সেদিন দুপুর থেকে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল যে ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত নাও হতে পারে। কিন্তু স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ একিউআই এর উন্নতি হওয়ায় শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি মাঠে গড়ায়। যদিও মাঠে কিছু কিছু খেলোয়াড়ের চোখ জ্বালাপোড়া করেছে, কারো কারো গলায়ও সমস্যা হয়েছিল। সেই তালিকায় ছিলেন শিখর ধাওয়ান ও বাংলাদেশের সৌম্য সরকার। যদিও বিষয়গুলো আইসিসির নজরের বাইরে ছিল না। তাৎক্ষণিক আইসিসি ও ম্যাচ রেফারি কিছু না বললেও পরবর্তীতে তারা এই ভেন্যুর বিষয়ে কি মন্তব্য করেন এবং সিদ্ধান্ত নেন সেটাই দেখার বিষয়।
তথ্যসূত্র : মুম্বাই মিরর