অবসর ভেঙে স্টোকস ফিরেছেন ‘নিজের চাওয়াতেই’

স্পোর্টস ডেস্ক: ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে বেন স্টোকসকে অবসর থেকে ফেরাতে ইংল্যান্ড চেষ্টা চালিয়েছিল বটে, তবে সেটা জোরাজুরির পর্যায়ে ছিল না। দলটির সাদা বলের অধিনায়ক জস বাটলারের মতে, স্টোকসকে বিরক্ত করলে হিতে-বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল বেশি। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের ওপরই ছেড়ে দিয়েছিলেন তারা।

শেষ পর্যন্ত ভারতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে চোখ রেখে অবসরের সিদ্ধান্ত বদলে ওয়ানডেতে ফিরেছেন স্টোকস। সবকিছু ঠিক থাকলে বিশ্বকাপের আগেই এই সংস্করণে ইংল্যান্ডের জার্সি গায়ে দেখা যাবে তাকে। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে আসছে সীমিত ওভারের সিরিজের দলে রাখা হয়েছে ৩২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারকে।

ইংল্যান্ড টেস্ট দলের নেতৃত্ব পাওয়ার দুই মাস পর গত বছরের জুলাইয়ে ওয়ানডে থেকে সরে দাঁড়ান স্টোকস। তখন কারণ হিসেবে বলেছিলেন, একইসঙ্গে তিন সংস্করণে তার পক্ষে সামর্থ্যের শতভাগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল ও সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের নায়ককে ফেরানোর আশা অবশ্য তখন ছাড়েনি ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডের সাদা বলের কোচ ম্যাথু মট ও অধিনায়ক বাটলার অনেক দিন ধরেই স্টোকসের মন পরিবর্তনের চেষ্টা করে আসছিলেন।

তবে সেটা স্টোকসকে বারবার অনুরোধ করে বিরক্ত করার মতো ছিল না। বাটলার বললেন, নিজের চাওয়াতেই ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্টোকস।
“সত্যি বলতে, এটা বেনের (স্টোকস) সিদ্ধান্ত ছিল। এরই মধ্যে বেনকে আপনারা সবাই বেশ ভালোভাবে চেনেন। আমার মনে হয় না, তার সঙ্গে কথা বলে কেউ তাকে রাজি করাতে পারত।”

“এটা নিয়ে বেশ কিছুদিন আগে আমাদের কথা হয়েছিল। সে ফিরতে চায় কি না, আমাকে জানানোর সিদ্ধান্ত তার ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। আমরা খুশি যে, সে ফেরার জন্য প্রস্তুত। আর যেকোনো সময় তাকে দলে স্বাগত জানাতে পারা দারুণ ব্যাপার।” নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে সিদ্ধান্ত নিজে নিতেই পছন্দ করেন স্টোকস। ওয়ানডে অবসর ভেঙে ফেরাও তেমন একটি।

বাটলার মনে করছেন, বিশ্বকাপে খেলার ইচ্ছাই স্টোকসকে সিদ্ধান্ত বদলে সহায়তা করেছে। গত অ্যাশেজ সিরিজ শেষ হওয়ার ‘সপ্তাহখানেক কিংবা ১০ দিন’ পার হতেই নাকি ফিরতে চাওয়ার কথা জানিয়ে দেন স্টোকস।

“বেন অনেকটাই নিজের মতো কাজ করে, নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নেয়। তার সঙ্গে অনেক দিন খেলেছি, তার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে আমার। তাকে বিরক্ত করে বারবার বলা, ‘ফিরে আসো, ফিরে আসো’, আসলে বেনের সঙ্গে কাজ করার পথ এটি নয়। সে নিজের মন তৈরি করে এবং সিদ্ধান্ত নেয়।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *