হাতে যথেষ্ট তথ্য নেই, তা সত্ত্বেও উত্তর কোরিয়ায় করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে বলে জানালো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থার ইমার্জেন্সি প্রোগ্রামের প্রধান মাইকেল রায়ান বলেছেন, আমরা ধরে নিচ্ছি পরিস্থিতি ভালো নয়, বরং আরো খারাপ হয়েছে।
ডব্লিউএইচও বুধবার (১ মে) জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট তথ্য তাদের হাতে নেই।
উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, বুধবার নতুন করে ৯৬ হাজার ৬১০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ সময় কেউ মারা যাননি। পরপর তিনদিন আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখের নীচে বলে তাদের দাবি।
রায়ান বলেছেন, পরিস্থিতি কতোটা ঝুঁকিপূর্ণ তা যাচাই করার অবস্থায় তারা নেই। কারণ, তাদের হাতে প্রয়োজনীয় তথ্য নেই।
পিয়ংইয়ং এর আগে করোনায় কতজন আক্রান্ত হয়েছেন, তা জানায়নি। তারা এটাও বলেনি, সমস্যা কতটা জটিল।
বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা জানিয়েছে, তারা চীন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করছে উত্তর কোরিয়ার করোনা পরিস্থিতি কোথায় দাঁড়িয়ে সেই ছবিটা পাওয়ার জন্য। তারা উত্তর কোরিয়াকে ভ্যাকসিন দিয়ে সাহায্য করতে পারে। উত্তর কোরিয়া দেশের মানুষকে ভ্যাকসিন দিয়েছে, এমন কোনো খবর নেই।
রায়ান বলেছেন, আমরা উত্তর কোরিয়াকে অনেকবার সাহায্য করার কথা বলেছি। তিনবার তাদের ভ্যাকসিন দিতে চেয়েছি। আমরা এখনো দিতে চাইছি।
মে মাসে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর আসার পর উত্তর কোরিয়ায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়। কিম জং উন ওয়ার্কার্স পার্টির শীর্ষস্থানীয় অফিসারদের প্রবল ধমকেছেন। তিনি বলেছেন, কারো করোনা হলেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে হবে এবং ওষুধ পৌঁছে দিতে হবে।
পিয়ংইয়ং প্রথমে জানায় একজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তারপরই খবর আসে, সেখানে লাখো মানুষ প্রতিদিন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এরপরই প্রশ্ন ওঠে, করোনা মোকাবিলায় উত্তর কোরিয়া কতটা প্রস্তুত?