রোনালদোর নামে স্পোর্টিং লিসবনের স্টেডিয়াম

স্পোর্টিং লিসবনের স্টেডিয়ামের নাম পর্তুগালের বরপুত্র ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর নামে রাখা হতে পারে। এমনটাই জানিয়েছেন ক্লাবটির সভাপতি। এই স্পোর্টিংয়ের হয়েই পেশাদারি ফুটবলে প্রথম খেলেছিলেন রোনালদো

 

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সাফল্যের তালিকায় অর্জনের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গতকালই ইউরো বাছাইপর্বে লুক্সেমবার্গের বিপক্ষে গোল করে ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে মোট ৬৯৯ গোল করার কীর্তি নিজের করে নিয়েছেন। আর একটি গোল করলেই সাত শ গোল করা খেলোয়াড়দের তালিকায় নাম লেখাবেন। যে তালিকায় রোনালদোর সঙ্গী পেলে, জার্ড মুলার, ফেরেঙ্ক পুসকাস, রোমারিওরা। এর পরপরই জানা গেলে পর্তুগালের স্পোর্টিং লিসবন তাদের স্টেডিয়ামের নাম রাখবে রোনালদোর নামে।

 

স্পোর্টিং লিসবনের সঙ্গে রোনালদোর সম্পর্ক আজকের নয়। এই লিসবনের হয়েই পেশাদার ক্যারিয়ারের সূচনা করেছিলেন রোনালদো। তখন অবশ্য অন্য স্টেডিয়ামে খেলত দলটি। কিছুদিন পরেই উদ্বোধন হয় স্পোর্টিংয়ের বর্তমান স্টেডিয়াম এস্তাদিও হোসে আলভালাদের। ২০০২ সালে বিশ্বখ্যাত ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ খেলে স্টেডিয়ামটার উদ্বোধন করেছিল স্পোর্টিং। সে ম্যাচে স্পোর্টিংয়ের হয়ে খেলেছিলেন রোনালদো। ম্যাচের প্রথমার্ধেই ইউনাইটেডের আইরিশ ফুলব্যাক জন ও’শেয়াকে ঘোল খাইয়ে ছেড়েছিলেন এই পর্তুগিজ উইঙ্গার। এতটাই দুর্দান্ত খেলেছিলেন যে, প্রথমার্ধের বিরতির সময়েই জন ও’শেয়া আর রায়ান গিগস ইউনাইটেডের কোচ স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের কাছে বায়না ধরেন, যেভাবেই হোক যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো নামক এই কিশোরকে কিনতেই হবে।

 

পরের ইতিহাস সবার জানা। স্পোর্টিংয়ে রোনালদো যে ঝলক দেখিয়েছিলেন সেদিন, সে ঝলকের ঔজ্জ্বল্য দিন দিন বেড়েছে বই কমেনি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ মাতিয়ে রোনালদো এখন জুভেন্টাসে। ক্লাব ক্যারিয়ারে আর একটা গোল করলেই হয়ে যাবে সাত শ গোল। এই অবস্থাতেই স্পোর্টিংয়ের সভাপতি ফ্রেদেরিকো ভারান্দাস দিলেন ঘোষণাটি, ‘আমাদের স্টেডিয়ামের নাম রোনালদোর নামে রাখার একটা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। এটা হলে আমাদের জন্য অনেক গর্বের একটা বিষয় হবে। আমাদের ক্লাবের ইতিহাসে ক্রিস্টিয়ানো একটা অসাধারণ অনুষঙ্গ হয়ে থাকবে। বিশ্বের সবচেয়ে সেরা খেলোয়াড়ের নাম যে আমাদের সঙ্গে যুক্ত, এ জন্য আমরা অনেক গর্বিত। আমি চাই রোনালদো আমাদের তরুণ খেলোয়াড়দের আদর্শ হয়ে থাকুক।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *