ম্যাচটা জিতলেই ২০২০ সালের ইউরোর মূলপর্বের টিকিট নিশ্চিত হয়ে যেত ইংল্যান্ডের। কিন্তু জয় দূরে থাক, উল্টো হেরে বসেছে গ্যারেথ সাউথগেটের দল। পিছিয়ে পড়েও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়েছে চেক রিপাবলিক।
১০ বছর পর কোনো বাছাইপর্বের ম্যাচ হারল ইংল্যান্ড। থেমে গেল তাদের ৪৩ ম্যাচের অপরাজেয় যাত্রা।
ইংল্যান্ড সবশেষ কোনো বাছাইপর্বের ম্যাচ হেরেছিল ২০০৯ সালের অক্টোবরে, বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ইউক্রেনের বিপক্ষে ১-০ গোলে।
হিসাবটা শুধু ইউরোর বাছাইপর্ব ধরলে ইংল্যান্ডের সবশেষ হারের জন্য ফিরে যেতে হবে আরো পেছনে। ২০০৭ সালের নভেম্বরে ওয়েম্বলিতে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে হেরেছিল ৩-২ গোলে।
শুক্রবার রাতে নিজেদের মাঠে ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই পিছিয়ে পড়েছিল চেক রিপাবলিক। পেনাল্টি থেকে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে দেন অধিনায়ক হ্যারি কেন।
অবশ্য চার মিনিট পরই স্বাগতিকদের সমতায় ফেরান ব্রাবেক। আর দ্বিতীয়ার্ধে নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হওয়ার পাঁচ মিনিট আগে জয়সূচক গোলটি করেন বদলি হিসেবে নামা জেনেক ওন্দ্রাসেক।
এই হারের পরও পাঁচ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষে আছে ইংল্যান্ড। এক ম্যাচ বেশি খেলা চেক রিপাবলিক সমান ১২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে।
ইংল্যান্ড তাদের পরের ম্যাচে সোমবার বুলগেরিয়াকে হারাতে পারলে আর কসোভো যদি মন্টেনেগ্রোকে হারাতে ব্যর্থ হয়, তাহলেই ইউরোর টিকিট নিশ্চিত হয়ে যাবে থ্রি লায়নদের।
বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের কষ্টের জয়
শুক্রবার ‘এইচ’ গ্রুপের ম্যাচে আইসল্যান্ডের মাঠে জয় পেতে বেশ ঘাম ঝরাতে হয়েছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে। ফরাসিরা ম্যাচটি জিতেছে ১-০ গোলে।
গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর ৬৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে জয়সূচক গোলটি করেন অলিভিয়ের জিরুদ। জাতীয় দলের হয়ে চেলসির এই মিডফিল্ডারের এটি ৩৭তম গোল।
সাত ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে আছে ফ্রান্স। আরেক ম্যাচে আলবেনিয়াকে ১-০ গোলে হারানো তুর্কি সমান পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে। ১২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে আইসল্যান্ড।