তাপসী আরও বলেন, ‘জীবন মানে যে শুধু ছুটতে হবে, তার কোনো মানে নেই। আশা করছি, এবার আমি যেসব পরিকল্পনা করেছি, তা বাস্তবায়িত হবে। লকডাউন হয়ে আবার যেন আমার সব প্ল্যান মাটি না করে দেয়। তাহলে আবার আমাকে আগের মতো ছুটতে হবে। আমি চাই যে আমার সব প্রকল্পের মধ্যে একটু ফাঁক রাখতে। জীবনে এবার একটু শ্বাস নিতে চাই।’

তাপসীকে শেষবার পর্দায় দেখা গেছে ‘লুপ লাপেটা’ ছবিতে। ছবিটি নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছিল। এই ছবিতে তিনি এক চোট পাওয়া অ্যাথলেটের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তাপসীর এই ছবি প্রশংসিত হয়েছে। এই ছবিতেও তিনি স্বমহিমায়। ‘লুপ লাপেটা’ ছবিতে তাপসীর অভিনীত চরিত্রের নাম ‘সাবি’।

এই ছবিতে নিজের অভিনীত চরিত্রের প্রস্তুতির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সব চরিত্রে দুই ধরনের চ্যালেঞ্জ থাকে—শারীরিক আর মানসিক। এই ছবিতে শারীরিক দিকটা আমার জন্য সহজ ছিল। কারণ, রশমি রকেট ছবির জন্য আমার আগে থেকেই অ্যাথলেটদের প্রশিক্ষণ নেওয়া ছিল। তাই এই ছবিতে প্রাক্তন অ্যাথলেটের চরিত্রে নিজেকে সহজে মেলে ধরতে পেরেছি। এই ছবিতে দৌড়ানোর দৃশ্যটা রশমি রকেট-এর ঠিক পরেই শুট হয়েছে। তাই আর অসুবিধা হয়নি। আর মানসিক প্রস্তুতির জন্য পরিচালক আকাশ ভাটিয়ার সঙ্গে বসে অনেক আলাপ–আলোচনা করেছিলাম। লকডাউনের জন্য আমরা আলোচনা করার আরও সুযোগ পেয়েছিলাম।’

লুপ লাপেটা ছবির মাধ্যমে পরিচালক একটা বার্তা দিতে চেয়েছেন, মানুষ ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেকে আরও অভিজ্ঞ করে তোলে। এগিয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে তাপসী বলেন, ‘ভুল আর ব্যর্থতা মানুষের সবচেয়ে বড় শিক্ষক। আপনি সবচেয়ে বেশি শিখতে পারেন নিজের ভুল আর ব্যর্থতা থেকে আর আমি মনে করি যে এটা সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে একবার ভুল করলে তার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়। আমি একই ভুল কখনো দ্বিতীয়বার করি না। তবে আমি নতুন নতুন ভুল করতে চাই।’
তাপসীকে আগামী দিনে ‘ব্লার’, ‘সাবাশ মিঠু’, ‘মিশন ইমপসিবল’, ‘দোবারা’, ও ‘লড়কি হ্যায় কহাঁ’ ছবিতে দেখা যাবে।