নিউজ ডেস্কঃ করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা কার্যকর করতে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে। মাঠে নামছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। প্রয়োজনে জেল-জরিমানা করা হবে।
বুুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন, জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান। আলোচনায় অংশ নেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আদনান মাহফুজ, সিলেট মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার মো আজবাহার আলী শেখ, র্যাব-৯ এর এএসপি সোমেন মজুমদার, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সিংহ, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা জন্মেজয় দত্ত, সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্যকর্মকর্তা ডা জাহিদুল ইসলাম, সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি তাহমিন আহমদ, সিনিয়র সাংবাদিক আল আজাদ, গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল, কনজ্যুমার এসোসিয়েশন বাংলাদেশ সিলেট শাখার সভাপতি জামিল চৌধুরী, প্রাইভেট হাসপাতাল ওনার্স এসোসিয়েশন সিলেটের সভাপতি ডা. নাসিম আহমদ প্রমুখ।
সভায় জরুরি ভিত্তিতে বিশেষ ব্যবস্থায় পরিবহন শ্রমিক ও হোটেল-রেস্টুরেন্ট কর্মচারীদের করোনা টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে আরও বলা হয়, শনিবার থেকে করোনা টিকাকার্ড দেখাতে না পারলে কাউকে হোটেল-রেস্টুরেন্টে বসে খেতে দেওয়া যাবে না। এ ব্যাপারে শিথিলতা ধরা পড়লে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সিলেটে পর্যাপ্ত টিকা মজুদ আছে। টিকাদান প্রস্তুতিতেও কোন কমতি নেই; কিন্তু মানুষের মধ্যে আগ্রহ কম, যা অত্যন্ত আশংকাজনক। কারণ এতে সংক্রমণ দ্রুতহারে বাড়তে থাকবে।
তারা আরও জানান, করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজের ৬ মাস পূর্ণ না হলে এবং এসএমএস না এলে বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে না। কারণ এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে।
সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানান, মহানগরীর প্রতিটি মসজিদে মাইকে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, তার অনুরোধে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক অন্যান্য জেলা থেকে পর্যটকরা এই সময়ে যাতে অধিকমাত্রায় সিলেটে না আসে-সে ব্যাপারে অন্যান্য জেলায় নির্দেশনা দিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক মো মজিবর রহমান বলেন, প্রতিটি বিপণিবিতানে মাস্কছাড়া যাতে কেউ প্রবেশ করতে না পারে সেই ব্যবস্থা বিপণিবিতান কর্তৃপক্ষকেই করতে হবে।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার ইমামদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন।
জেলা প্রশাসক মসজিদের মাইকে করোনা সম্পর্কে সচেতনতামূলক বার্তা প্রচারের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনি কাউন্সিলরদের মাধ্যমে প্রতিটি ওয়ার্ডে সচেনতামূলক সভা করতে সিসিক মেয়রের প্রতি আহ্বান জানান।