এ হামলা প্রসঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে যেভাবে উত্তেজনা বাড়ছে, তা অবশ্যই কমাতে করতে হবে। এ ছাড়া হামলার পর সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন বাহিনী ও হুতিদের মধ্যে উত্তেজনা হ্রাসের আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনও।
সাদা শহরকে বিদ্রোহী হুতিদের গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। এই হুতিদের বিরুদ্ধে ২০১৫ সাল থেকে লড়াই চালিয়ে আসছে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন বাহিনী। এই সংঘর্ষ শুরুর পর এ পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি শিশুসহ লাখো বেসামরিক নাগরিক নিহত বা আহত হয়েছেন। এ ছাড়া লাখো মানুষ গৃহহীন হয়েছেন। এ যুদ্ধের কারণে দেশটিতে অধিকাংশ মানুষ দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন।
হামলার পর বিবিসির মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিনিধি আন্না ফস্টার বলেন, হামলার কয়েক ঘণ্টা পর সেখানে উদ্ধারকাজ শুরু হয়। আশা করা হচ্ছিল, সেখানে চাপা পড়া জীবিত ব্যক্তিদের উদ্ধার করা সম্ভব হবে। এখন পর্যন্ত কয়জন মারা গেছেন, তা স্পষ্ট নয়।
এ হামলার পর কিছু ফুটেজ নিজেদের টেলিভিশনে প্রচার করেছে হুতিরা। এতে দেখা যায়, অনেকে হাত দিয়ে ধসে যাওয়া ভবনের অংশবিশেষ সরানোর চেষ্টা করছেন। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। এই উদ্ধারকাজ প্রসঙ্গে এমএসএফের ইয়েমেন প্রধান আহমেদ মাহাত বলেন, যেখানে বিমান হামলা চালানো হয়েছিল, সেখানে এখনো অনেকের মরদেহ রয়েছে। অনেকে এখনো নিখোঁজ। এখনই বলা সম্ভব নয়, ঠিক কতজন মারা গেছেন।
এদিকে হামলার পর হুতিরা দাবি করেছিল, কারাগার লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন বাহিনী। তবে সৌদি আরবের কর্মকর্তারা বলেছেন, এ বক্তব্য অসত্য। সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ হামলা সম্পর্কে ইয়েমেনের কো–অর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স ও ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেডক্রসকে বিস্তারিত তথ্য দেবে সৌদি নেতৃত্বাধীন বাহিনী।