আগামী ২১ অক্টোবর কানাডায় ৪৩তম সাধারণ নির্বাচন

আর মাত্র আড়াই সপ্তাহ অর্থাৎ আগামী ২১ অক্টোবর কানাডায় ৪৩তম সাধারণ নির্বাচন। যার মাধ্যমে হাউজ অফ কমন্স-এর ৩৩৮ জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন। ইতিমধ্যে গত ১১ সেপ্টেম্বর গভর্নর জেনারেল সংসদ ভেঙ্গে দিয়েছেন। নির্বাচনের আগে ৪০ দিন ক্যম্পেইন করতে পারবেন মনোনীত নেতারা।

 

৩ প্রধান রাজনৈতিক দলের ২টিরই নেতৃত্বে এবারে রয়েছে নতুন মুখ। অর্থাৎ ২০১৫ সালের নির্বাচনে তারা দলের প্রধান ছিলেন না। বিরোধী কনজারভেটিভ পার্টি নেতা অ্যান্ড্রু শিয়ার দলের প্রধানের দায়িত্ব নেন ২০১৭ সালের ২৭ মে। অপরদিকে তৃতীয় শক্তিশালী দল নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) এর প্রধানের দায়িত্ব পান ভারতীয়-কানাডিয়ান জাগমিত সিং ২০১৭ সালের ১৭ মার্চ।

 

২০১৩ সালের ১৪ এপ্রিল লিবারেল পার্টি প্রধান হিসেবে দলের হাল ধরেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ২০১৫ সালের নির্বাচনে তার নেতৃত্বে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে দলটি। ৩৩৮ আসনের মধ্যে ১৮৪ আসনে তারা জয় পায়, বিরোধী কনজারভেটিভ পার্টি জয় পায় ৯৯টি আসনে, ৪৪ আসনে জয় লাভ করে এনডিপি। বাকি যেসব দল রয়েছে তারা কেউই পার্লামেন্টের দলীয় স্ট্যাটাস পায়নি। অর্থাৎ কমপক্ষে ১২টি আসনে জিততে পারেনি। উল্লেখ্য এককভাবে সরকার গঠন করতে গেলে ১৭২টি আসনে জয় পেতে হয়।

 

জাতীয় সম্প্রচার মাধ্যম সিবিসির এক জরিপে দেখা গেছে, কনজারভেটিভ পার্টি সামান্য এগিয়ে আছে ক্ষমতাসীনদের চেয়ে। কনজারভেটিভ ৩৪ দশমিক ৮ শতাংশ এবং লিবারেল ৩৩ দশমিক ৮ শতাংশ। লিবারেল পার্টির অবস্থানের কিছুটা অবনমন হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এটি জাস্টিন ট্রুডোর সাম্প্রতিক ‘ব্ল্যাকফেস মেকআপ’ এর ফল, যদিও এই সমালোচনার প্রভাব কাটিয়ে উঠছেন তিনি। অবশ্য অন্য জরিপগুলোতে লিবারেল সামান্য এগিয়ে রয়েছে।

 

নিঃসঙ্কোচে ক্ষমা চেয়ে বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মাঠ গরম করা থেকে বিরোধী শিবিরকে বিরত রাখছেন জাস্টিন। যদিও কনজারভেটিভ পার্টির নেতা অ্যান্ড্রু শিয়ার বলছেন, ট্রুডো যা করেছেন তা বর্ণবৈষম্য ছাড়া কিছুই নয়। শাসকের পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন তিনি।

 

অপরদিকে টুইটারে একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করে ট্রুডো বলেছেন, যেসব মানুষ প্রতিদিন বৈষম্যের শিকার হন, আমার এ কাজ তাদের দুঃখ দিয়েছে। এ কাজের জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী, এর দায়িত্ব সম্পূর্ণ আমার। এজন্য তিনি দ্বিতীয় বারের মতো ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

 

তিনি আরও লেখেন, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, মুখে কালো রঙ মেখে এভাবে সাজা একেবারেই উচিত নয়। কারণ এই কালো মুখের সঙ্গে একটি ইতিহাস জড়িয়ে আছে। আমার এটি আগেই বোঝা উচিত ছিল।

 

 

এই বিষয়টি হয়ত আর বেশিদূর গড়াবে না, কারণ ক্ষমা প্রার্থনা এবং ভুল স্বীকার করার পর সমালোচনাটা আর ধোপে টেকে না। ট্রুডোর সমর্থকদের মাঝেও খুব আহামরি নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে মনে হয় না। বিশেষ করে বাংলাদেশি ভোটারদের কাছেতো নয়ই। কারণ, কানাডায় লিবারেল অভিবাসী বান্ধব রাজনৈতিক দিল। জাস্টিনের নির্বাচনী আসন ‘পাপিনিউ’তেও প্রচুর বাঙালি ভোটার রয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *