নিউজ ডেস্কঃ ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে উত্তেজনা চরমে। দেশটির সীমান্তে রাশিয়ান সেনা উপস্থিতি নিয়ে পশ্চিমা সমালোচনা ও সেনা সরিয়ে নেওয়ার চাপ পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করেছে। এসবের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গতকাল রবিবার (৯ জানুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আলোচনায় বসেছে রাশিয়া।
আলোচনার ঠিক আগে রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াকভ বলেছেন, ইউক্রেন ইস্যুতে তার দেশ কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। মস্কোর এই কঠোর অবস্থানের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আসন্ন আলোচনার সম্ভাব্য ফল নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।
স্নায়ুযুদ্ধ অবসানের পর এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সেনা মোতায়েন নিয়ে যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে, তা আগের সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে কাজাখস্তানে বিক্ষোভ দমনে দেশটির আহ্বানে সাড়া দিয়ে মস্কোর সেনা প্রেরণ বড় ধরনের উদ্বেগের সূচনা করে।
বিবিসি জানায়, কয়েক ধাপে রুশ-মার্কিন আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে জেনেভা, ব্রাসেলস ও ভিয়েনাতে দুই দেশের মুখোমুখি বসার কথা দুই পরাশক্তির।
সের্গেই রিয়াকভ বলেন, আসন্ন আলোচনার আগে পশ্চিমা দেশগুলোর তরফ থেকে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে। এ সম্পর্কিত কোনো চাপের কারণে আমরা কোনো ধরনের ছাড় দেব না।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে এক বিপ্লবের মধ্য দিয়ে উত্খাত হয় তত্কালীন ইউক্রেন সরকার। ওই সরকার পশ্চিমাবিরোধী এবং রাশিয়ার পক্ষে ছিল। ইউক্রেনের রুশপন্থী সরকারের পতনের পর দেশটির অধীনে থাকা ক্রিমিয়া দখল করে নেয় রাশিয়া। এ ছাড়া পূর্ব ইউক্রেনে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদদ দেয় রাশিয়া। এসব ঘটনায় ১৩ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।