ওমিক্রনের চেয়েও ভয়ঙ্কর হতে পারে ‘ডেলমিক্রন’

নিউজ ডেস্কঃ মহামারী করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের ঢেউ সামাল দিতে নাজেহাল হচ্ছে গোটা বিশ্ব। তার মধ্যেই আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনার আরও এক নতুন ধরন। ওমিক্রনের পর এবার ত্রাস সৃষ্টি করতে আসছে ডেলমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। জানা গেছে, আমেরিকা এবং ইউরোপে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে ডেলমিক্রন। ডেল্টা এবং ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের মিলিত করোনাভাইরাসের রূপটিই হল ডেলমিক্রন।

ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডেলমিক্রন এই দুই মহাদেশে অতিমারির তাণ্ডব চলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা। প্রশ্ন উঠতে পারে কী এই ডেলমিক্রন?

নাম শুনেই বোঝা যায়, এটি ডেল্টা এবং ওমিক্রনের সমষ্টি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটি আল্ফা বা বিটার মতো আলাদা কোনো রূপ নয়। কোভিডের দুই রূপ ডেল্টা এবং ওমিক্রন— একসঙ্গে ভয়াবহ ভাবে ছড়াচ্ছে। তাই  এই যৌথ নামকরণ।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে জুনের মাঝামাঝি ডেল্টা মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল। প্রচুর আক্রান্তকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় সেসময়। বহু মানুষের মৃত্যু হয় এতে। এছাড়াও ব্রেন ফগ, পেশির ব্যথা, চুল উঠে যাওয়া, গন্ধ-স্বাদ চলে যাওয়ার মতো অন্য উপসর্গগুলো তো দীর্ঘ দিনই ধরেই কাবু করে রেখেছিল ডেল্টায় আক্রান্তদের।

এর পর এলো ওমিক্রন। এর সংক্রমণের হার অনেক বেশি হলেও উপসর্গ তুলনায় কম। স্বাদ-গন্ধ এর কারণে চলে যায় না। মাথাব্যথা, গলা চুলকানো, ক্লান্তি এর প্রধান উপসর্গ। তবে এটি কত দূর মারাত্মক হতে পারে, তা নিয়ে এখনও সংশয় রয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে।

এর পরই ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে দ্রুত গতিতে বাড়ছে ডেল্টা এবং ওমিক্রনের যুগল রূপের সংক্রমণ। বিজ্ঞানীরা একেই বলছেন ডেলমিক্রন। একদিকে ডেল্টা মারাত্মক উপসর্গ, তার সঙ্গে ওমিক্রনের মৃদু উপসর্গ— দুটোর প্রভাবই রয়েছে আক্রান্তদের মধ্যে। পাশাপাশি ডেল্টার মতো ধীরে ছড়াচ্ছে না এই সংক্রমণ। বরং এর সংক্রমণের হার ওমিক্রনের মতো।

ডেলমিক্রমের ক্ষেত্রে যেসব উপসর্গ দেখা দেয়:
•    তীব্র জ্বর
•    টানা কাশি
•    স্বাদ-গন্ধের অনুভূতি চলে যাওয়া বা কমে যাওয়া
•    মাথাব্যথা
•    সর্দি
•    গলা খুসখুস

যদিও বিশেষজ্ঞরা জানান, অন্য কোনো মিউটেশনের ফলে ওমিক্রনের পর করোনাভাইরাসের আরও একটি রূপ বেরিয়েছে বলে এখনও পর্যন্ত তাদের জানা নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (‘হু’)-ও এ ব্যাপারে কিছু ঘোষণা করেনি। জানায়নি আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি)ও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *