নিউজ ডেস্কঃ বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের ব্যাপক দরপতন হয়েছে। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) সাড়ে এগারোটায় (ইস্টার্ন ডেলাইট টাইম) ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দর আগের দিনের তুলনায় ৬ শতাংশ কমেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের প্রভাবে নতুন করে দেশে দেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি হচ্ছে। এর প্রভাব পড়েছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বাজারে। তবে এদিন বিশ্ববাজারে প্রাকৃতিক গ্যাসের দর বেড়েছে।
ওয়েল প্রাইসের তথ্যমতে, সোমবার (২০ ডিসেম্বর) ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচারের দরপতন হয়েছে ২.১৪ ডলার বা ২.৯ শতাংশ। এদিন প্রতি ব্যারেল তা বিক্রি হয়েছে ৭১.৩৮ ডলারে। আর ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুড ফিউচারের মূল্য পড়েছে ২.৪৫ ডলার বা ৩.৫ শতাংশ। ব্যারেল প্রতি বিক্রি হয়েছে ৬৮.৪১ ডলারে।
গত ২৭ অক্টোবর অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ৮৫ ডলার ছাড়িয়ে ৮৫ দশমিক শূন্য ৭ ডলারে ওঠে। এরপর থেকেই তা কমতে থাকে।
বাজার বিশ্লেষক কেলভিন ওয়ং বলেন, ইউরোপ ও আমেরিকায় জ্বালানি তেলের দর কমেছে। এশিয়ার বাজারেও এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বিধিনিষেধ আসতে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে তেলের চাহিদা কমতে পারে। যা যুক্তিযুক্তও বটে।
ইতিমধ্যে ওমিক্রন আতঙ্কে সারাদেশে লকডাউন চালু করেছে নেদারল্যান্ডস। বড়দিন ও নববর্ষে উপলক্ষে ইউরোপের একাধিক দেশ সেই পথে হাঁটতে যাচ্ছে। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সও একই চিন্তাভাবনা করছে। এই অবস্থায় জ্বালানি তেলের দাম কমার ধারা অব্যাহত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।