র‍্যাবের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে ষ্টেট ডিপার্টমেন্ট ও হোয়াইট হাউজের সামনে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ

নিউজ ডেস্কঃ গুরুতর মানবাধিকার লংঘনমূলক কাজে জড়িত থাকার’ অভিযোগে বাংলাদেশের পুলিশের এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব’র ছয়জন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তার ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে ১৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এবং প্রেসিডেডন্ট বাসভবন হোয়াইট হাউজের সামনে বিক্ষোভ করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক আবদুস সামাদের পরিচালনা ও আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভ সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মেট্র ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ সহ সর্বস্তরের নেতৃবন্দ অংশগ্রহন করে।

নিষেধাজ্ঞাকে অবৈধ অনৈতিক হিসাবে আখ্যা নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশে জয় বাংলা স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠে। নিষেধাজ্ঞা তুলে নাও নিতে হবে বলে দাবী জানানো হয় বিক্ষোভ সমাবেশে থেকে। ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সারাবিশ্ব যখন জঙ্গিবাদ আলোড়িত একটি বিষয়, সেই সময়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জঙ্গিবাদ নির্মূল করা হয়েছে এবং এই জঙ্গি নির্মূলে যেই সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে সেই সংস্থাকে আঘাত করছে যুক্তরাষ্ট্র। তাহলে যুক্তরাষ্ট্র কারপক্ষে? জঙ্গীবাদের পক্ষে? নাকি শান্তির পক্ষে?

ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক আবদুস সামাদ বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এখানে তৃতীয় কোনো শক্তি যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কের ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে। যে বাহিনী নারী পাচার রোধ, মাদক চোরচালান রোধসহ জঙ্গিবাদ নির্মুলে বলিষ্ট ভুমিকা পালন করেছে তাদের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কেন এমন সিদ্ধান্ত। অনতিবিলম্বে যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে।

বিক্ষোভ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখে, মেট্র ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগ সভাপতি সাদেক এম খান, সাধারন সম্পাদক মাহমুদুন নবী বাকী, সিনিয়র সহ সভাপতি শিব্বীর আহেমদ, সহ সভাপতি জি আই রাসেল, নুরুল আমিন, আযম আযাদ, যুগ্ম সম্পাদক হারুনুর রশীদ, কামাল হোসেন, মেট্র ওয়াশিংটন যুবলীগ সভাপতি রবিউল ইসলাম রাজু, নুরুল ইসলাম নজরুল, সাইকুল ইসলাম, এমদাদ চৌধুরী, হিন্দাল কাদের বাপ্পা, জেবা রাসেল, দস্তগীর জাহাঙ্গীর সহ আরো অনেকে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার মার্কিন অর্থ দফতরের ‘ফরেন অ্যাসেটস কনট্রোল অফিস’ (ওএফএসি) বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের মোট ১০টি প্রতিষ্ঠান ও ১৫ জন ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে – যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং নিপীড়নের সাথে সংশ্লিষ্ট বলে নিষেধাজ্ঞায় উল্লেখ করা হয়েছে। ফলে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাবেন না। এরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য বলেও বিবেচিত হবেন। আর র‌্যাবও প্রতিষ্ঠান হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের কাছ থেকে যেসব সহযোগিতা পাচ্ছিলো সেগুলো বাতিল হতে পারে।

একইসঙ্গে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত বেনজির আহমেদ ও র‌্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ র‌্যাবের আরও চারজন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তার বিদেশে সম্পদ থাকলে সেগুলো বাজেয়াপ্ত হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *