স্থাপত্য নকশা ঠিক রেখেই সারদা হল সংস্কার করা হবে : প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ

নিউজ ডেস্কঃ সিলেটের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র, সাংস্কৃতিক মিলনায়তন ‘সারদা স্মৃতি ভবন’ হলে আবারও প্রানচাঞ্চল্য ফিরে পাবে বলেই আশ্বাস দিয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিলেটের সংস্কৃতির ঐতিহ্যের ধারক এই স্থাপনার স্থাপত্য নকশা ঠিক রেখে দ্রুত সময়ের মধ্যেই সংস্কারের উদ্যোগ নেবে সরকার। প্রত্নতত্ব বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে হলটি সংস্কার করা হবে বলেও আশ্বাস দেন প্রতিমন্ত্রী।

গতকাল রোববার দুপুরে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, প্রশাসনের কর্তাগণ, সিলেটের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গকে সাথে নিয়ে সারদা হল পরির্দশন করেন প্রতিমন্ত্রী। পরিদর্শন শেষে হলের উঠোনে সংশ্লিষ্টদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

মতবিনিময়ে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, আধ্যাত্মিক ও পূন্যভূমি সিলেটে নানা জাতিগোষ্টির মানুষের একত্র বসবাসের কারণে ভিন্নতর সংস্কৃতির ঐতিহ্য রয়েছে। সাংস্কৃতিক বৈচিত্রেও সিলেটের রয়েছে বিচিত্রতা। সারদা স্মৃতি ভবনটি সিলেটের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি স্মারক স্থাপনা। হলটি দ্রুত সংস্কার করে চালু করা জরুরী।

মতবিনিময় সভায় অংশিজনেরা তাদের মতামত তুলে ধরেন। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব বিধায়ক রায় চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম, সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, উপস্থিত ছিলেট মদন মোহন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ, ব্যারিস্টার আরশ আলী, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক নাট্যজন অরিন্দম দত্ত চন্দন, সভাপতি মিশফাক আহমদ চৌধুরী মিশু, জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক শামসুল আলম সেলিম, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক গৌতম চক্রবর্তী, সিলেট জেলা কালচারাল অফিসার অসিত বরণ দাশগুপ্ত প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, নদী সুরমার চাঁদনী ঘাটের পাড়ে ৮৫ বছর আগে ৩৯ শতক ভূমিতে নির্মিত হয় ‘সারদা স্মৃতি ভবন’। সিলেট শহরের সাংস্কৃতিক এই মিলনায়তন সারদা হল নামেই বেশি পরিচিত। ঐতিহাসিক সারদা হলটি নব্বই দশকের শুরুর দিক থেকে রক্ষণাবেক্ষণ ও যথাযথ সংস্কারের অভাবে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল। ২০০৫ সালে মূল অবকাঠামোর স্থাপত্য নকশা ঠিক রেখে সিলেট জেলা পরিষদ সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। কয়েক বছর পর আবারও মিলনায়তনটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বর্তমানে হলটির ভেতরে সিসিকের পীর হাবিবুর রহমান পাঠাগারের বই পুস্তক সংরক্ষন করে রাখা আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *