নিউ জিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া: রোড টু ফাইনাল

স্পোর্টস ডেস্কঃ 

২০১৫ ও ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের হতাশা কাটানোর অপেক্ষায় নিউ জিল্যান্ড। সীমিত ওভারের ফরম্যাটের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে আর একটি মাত্র জয় চাই তাদের। অন্যদিকে ওয়ানডের রেকর্ড বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার কাছে অধরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ট্রফি। ২০১০ সালের পর প্রথম ফাইনালে সেই আক্ষেপ কি ঘুচাতে পারবে তারা? দুবাইয়ে রোববার মুখোমুখি হচ্ছে নিউ জিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া।

চূড়ান্ত লড়াইয়ে তারা কিভাবে এলো সেটা একটু দেখে নেওয়া যাক-

নিউ জিল্যান্ড

সুপার টুয়েলভ

প্রতিপক্ষ পাকিস্তান

বাজে শুরু হয়েছিল নিউ জিল্যান্ডের। বাবর আজমের দলের কাছে হারে ৫ উইকেটে। ২০ ওভারে তারা থামে ৮ উইকেটে ১৩৪ রানে, পাকিস্তান ১০ বল হাতে রেখে জিতে যায় ম্যাচ।

প্রতিপক্ষ ভারত

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে নিউ জিল্যান্ড তাদের সত্যিকারের শক্তি প্রদর্শন করে। ভারতকে ৭ উইকেট ১১০ রানে থামানোর পর সহজেই ম্যাচটি জিতে যায়।

প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড

ভালোই লড়াই করেছিল স্কটল্যান্ড। কিন্তু উজ্জীবিত নিউ জিল্যান্ডের কাছে হেরে যায় ১৬ রানে। কিছু সময় ম্যাচ থেকে ছিটকে গেলেও জয়ের দেখা পায় নিউ জিল্যান্ড।

প্রতিপক্ষ নামিবিয়া

নিউ জিল্যান্ড সহজেই নামিবিয়াকে পরাস্ত করে। শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৫২ রানের বড় জয় পায় তারা।

প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান

নিউ জিল্যান্ডের জন্য ছিল বাঁচা মরার লড়াই। তাদের জানা ছিল হেরে গেলে নেট রান রেটে ছিটকে যেতে পারে। তাতে করে ভারতের সেমিফাইনাল দরজা খুলে যাবে। এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে ৮ উইকেটে আফগানিস্তানকে হারায় তারা।

সেমিফাইনাল

প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড

১৬৭ রান তাড়া করতে নেমে এক ওভার ও ৫ উইকেট হাতে রেখে জয় পায় নিউ জিল্যান্ড। ফাইনালে ওঠার আগে ড্যারিল মিচেল নামের এক বীরের আবির্ভাব দেখা যায়।

অস্ট্রেলিয়া

সুপার টুয়েলভ

প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে রোমাঞ্চকর জয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল অস্ট্রেলিয়া। ২ বল হাতে রেখে ১১৯ রানের লক্ষ্য পূরণ করে তারা ৫ উইকেট হারিয়ে।

প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা

দ্বীপরাষ্ট্রের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া তাদের শক্তি দেখায়। ১৫৫ রানের লক্ষ্য তাড়া পূরণ করে ১৭ ওভারের মধ্যে, তাও সাত উইকেট হাতে রেখে।

প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডের কাছে প্রথম হারের স্বাদ পায় অস্ট্রেলিয়া। এক কথায় তারা উড়ে যায়। ইংল্যান্ড তাদের ১২৫ রানে থামিয়ে ১১.৪ ওভারে ম্যাচ জিতে যায়।

প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ

বাংলাদেশকে উড়িয়ে দেয় অস্ট্রেলিয়া। ১৫ ওভারের মধ্যে ৭৩ রানে প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিয়ে সহজ জয় পায়। টপ অর্ডারদের সৌজন্যে সপ্তম ওভারেই ম্যাচ শেষ করে দেয় অজিরা।

প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাট হাতে কঠিন লড়াই করে শেষ পর্যন্ত ১৫৭ রান তোলে। অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটিং আবারো সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়ে ৮ উইকেটের সহজ জয় পায়। দক্ষিণ আফ্রিকা নেট রান রেটে পিছিয়ে থাকায় অস্ট্রেলিয়া উঠে যায় সেমিফাইনালে।

সেমিফাইনাল

প্রতিপক্ষ পাকিস্তান।

ম্যাথু ওয়েড ও মার্কাস স্টয়নিসের শেষ দিকের মারকুটে ইনিংসে উড়তে থাকা পাকিস্তানের বিপক্ষে দারুণ জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। ১৯তম ওভারে শাহীন শাহ আফ্রিদিকে টানা তিন ছক্কা মেরে দলকে ফাইনালে তোলেন ওয়েড।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *