পার্লামেন্ট ভাঙতে যাচ্ছেন পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট 

নিউজ ডেস্কঃ সরকারের বাজেট সংসদ সদস্যদের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর পর্তুগালের পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে যাচ্ছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মার্সেলো রেবেলো ডিসুজা। গতকাল বুধবার দেশটির কাউন্সিল অব স্টেট প্রেসিডেন্টের পার্লামেন্ট ভাঙার প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়। এতে পর্তুগালে মধ্যবর্তী নির্বাচনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালের বাজেট বিল পর্তুগালের সংসদ সদস্যরা প্রত্যাখ্যান করেন। এ কারণেই পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে যাচ্ছেন পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট। তবে কবে নাগাদ পর্তুগালের মধ্যবর্তী নির্বাচন হবে তা বলা হয়নি।

পর্তুগালের সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেসো জানিয়েছে, পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট পার্লামেন্ট ভাঙার ডিক্রিতে এখনো স্বাক্ষর করেননি। তবে তিনি এর জন্য কিছুটা সময় চেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি সপ্তাহে তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেন এবং বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল তাঁকে জানিয়েছে যে জানুয়ারিতে মধ্যবর্তী নির্বাচন হওয়া উচিত।

পর্তুগালে বাজেট প্রত্যাখ্যাত হওয়া মানে মধ্যবর্তী নির্বাচন দিতে হবে নিয়মটি এমন নয়। তবে গত বৃহস্পতিবার পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, এ ছাড়া তাঁর কাছে কোনো উপায় নেই।

এর আগে বুধবার পর্তুগালের অর্থমন্ত্রী পেড্রো সিজা ভিয়েরা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, এই অচলাবস্থার অবসান ঘটানোর জন্য একটি দ্রুত নির্বাচনকে সর্বোত্তম বিকল্প বলে মনে হচ্ছে।

গত ছয় বছর ধরে পর্তুগালে বেশ ভালোভাবেই সোশ্যালিস্ট কোস্টা সরকার চালাচ্ছিল। কোস্টার সাবেক শরিকেরা রক্ষণশীলদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাজেট বিলের বিপক্ষে ভোট দেয়। এই বাজেট বিলে মধ্যবিত্তের জন্য আয়কর কমানো এবং করোনা-পরবর্তী সময়ে সরকারি বিনিয়োগ বাড়ানোর কথা বলা হয়েছিল। বাজেটে ঘাটতি কমিয়ে ৩ দশমিক ২ শতাংশ করার কথা বলা হয়েছিল। বামপন্থী পার্লামেন্ট সদস্যরা বলেছেন, সরকার ঘাটতি কমানোর ওপরেই সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছিল। শ্রমিক সুরক্ষার দিকটা অবহেলিত ছিল। সামাজিক সুরক্ষার কোনো উন্নতি ঘটানো হয়নি। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সরকারি বিনিয়োগ বাড়ানো হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *