সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর পরিণতি পূজামণ্ডপে হামলা: রাশেদ খান মেনন

নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি বলেছেন, ফেসবুক, ইউটিউব এবং ওয়াজ মাহফিলগুলোতে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে। তারই পরিণতি শারদীয় দুর্গোৎসবে পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে হামলাসহ হিন্দুদের বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে লুট, অগ্নিসংযোগ, দৈহিক আক্রমণ ও জীবনহানির ঘটনা। দুর্ভাগ্যজনক যে, দেশের যুবসমাজের একাংশ এসব ঘটনায় জড়িত। এ থেকে উত্তরণে দেশের যুব সমাজকে সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদবিরোধী চেতনায় জাগ্রত করতে হবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর তোপখানা রোডে ওয়ার্কার্স পার্টি চত্বরে শহীদ রাসেল আহমেদ খান স্মরণে যুব মৈত্রী আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে রাশেদ খান মেনন এসব কথা বলেন। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর পল্টনে ১৪ দলের বিএনপি-জামায়াতবিরোধী আন্দোলনে জামায়াত কর্মীদের ছোঁড়া গুলিতে শহীদ হন রাসেল আহমেদ খান।

মেনন বলেন, বিএনপি-জামায়াতের মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক দুঃশাসনের বিরুদ্ধে দেশকে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে ১৪ দলের সংগ্রামে শহীদ হয়েছিলেন যুব মৈত্রী কর্মী রাসেল খান। কিন্তু আজ শহীদ রাসেলকে যেমন বিস্মৃতিতে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে, তেমনি ১৪ দলের অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক লড়াইও বিস্মৃতপ্রায়।

তিনি বলেন, এ কারণেই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ঢাকার সাবেক মেয়র ধর্মনিরপেক্ষতার মূলনীতিতে ‘ধর্মহীনতা’ বলে উল্লেখ করার দুঃসাহস দেখান। চরফ্যাশনের আওয়ামী লীগ দলীয় ইউপি চেয়ারম্যান আফগান তালেবানদের অনুসারে নিজ এলাকায় সেলুনগুলোকে ‘সুন্নতি কার্টিং’ ছাড়া চুল কাটলে জরিমানা করা হবে বলে নির্দেশ দেন। এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন ঊর্ধতন কর্মকর্তাও টাকনুর ওপর পাজামা-প্যান্ট পরার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

যুব মৈত্রীর সভাপতি সাব্বাহ আলী খান কলিন্সের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুতাসিম বিল্লাহ সানীর সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য নুর আহমদ বকুল, ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক কিশোর রায়, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তৌহিদুর রহমান, সাদাকাত হোসেন খান বাবুল, তাপস দাস, কাজী মাহমুদুল হক সেনা, কায়সার আলম, জামিরুল ইসলাম ডালিম, মিজানুর রহমান, ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক অতুলন দাস আলো প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *