মঙ্গলবার দুপুরে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের করিমপুর গ্রামের মাঝিপাড়া এলাকা পরিদর্শন গিয়ে তিনি এই আহ্বান জানান।
হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘যারাই হামলা করেছে, আমরা চাই সাধারণ আইনে নয়, তাদের সাজা হবে দ্রুত বিচার আইনে। আগামী তিন মাসের ভেতরে সাজা নিশ্চিত করে একটা দৃশ্যমান পরিস্থিতি তৈরি করা হোক যেন সবাই জানে, হামলাকারী যেই হোক না কেন তার নিস্তার নেই।’
দুর্গোৎসব চলাকালে কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দীঘির উত্তরপাড় পূজামণ্ডপে কোরআন শরীফ অবমাননার অভিযোগে মণ্ডপ, প্রতিমা ভাংচুর করা হয়। সেই ঘটনার জেরে চট্টগ্রামের জে এম সেন হল, নোয়াখালীর চৌমুহনী, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, সিলেট, ফেনীতেও হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির, বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে।
এতে প্রশাসনের গাফিলতিকে দায়ী করে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘আমরা ৩২ হাজার পূজামণ্ডপে নিরাপত্তা দিতে পারলাম। ৫০টি জায়গায় কেন আমরা হামলা ঠেকাতে পারলাম না কেন? যারা হামলা করেছে তারা তো দুস্কৃতিকারী। দায় প্রশাসনকেই নিতে হবে।’
দুর্গোৎসবের নিরাপত্তায় প্রশাসনের গাফিলতি রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে সাবেক তথ্যমন্ত্রী ইনু বলেন, ‘আমার পরিস্কার প্রশ্ন হল, মন্দিরে হামলা ঠেকানোর দায়িত্বে প্রশাসন ব্যর্থ হল কেন? প্রশাসন কি ব্যর্থ হল নাকি অদক্ষ?নাকি গাফিলতি আছে? নাকি প্রশাসনের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা সাম্প্রদায়িক কর্মচারীদের ইচ্ছাকৃত নিস্ক্রিয়তা আছে? সরকারকে এ ঘটনা তদন্ত করতে হবে। তা না হলে হামলার পুনরাবৃত্তি হবে। হামলা ঠেকানো যাবে না।’
জাসদ সভাপতি আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্থদের ঘরবাড়ি ও মন্দির সরকারকেই পুনর্নির্মাণ করে দিতে হবে। তিনি বলেন, সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে সরকারের পাশে থেকে তারা সব ধরণের সহযোগিতা করবেন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন জাসদের পীরগঞ্জ উপজেলা সভাপতি মীর মোহাম্মদ আলী মানিক, সেক্রেটারি আব্দুস সাত্তার, রামনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাদেকুল ইসলাম।