বৈদ্যুতিক গাড়িতে কানাডার একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে

নিউজ ডেস্কঃ

ভ্যাঙ্কুবারের বাসিন্দা হার্ভি সোইচার তার সহকর্মী কেণ্ট রামওয়েলকে নিয়ে একটি বৈদ্যুতিক গাড়িতে কানাডার একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ৭ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি পাড়ি দিয়েছেন। এজন্য তাদের সময় লেগেছে ৪ দিন ১৯ ঘন্টা। তারা আগস্টের ১৩ তারিখ নিউফাউন্ডল্যান্ডের সেন্ট জোনস থেকে রওয়ানা হয়ে ১৮ আগস্ট ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার ভিক্টোরিয়াতে পৌঁছান।

এমন একটি চ্যালেঞ্জিং সফরের কারণ সম্পর্কে হার্ভি বলেন, বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার আরও বৃদ্ধির জন্য তিনি এই জার্নি করেছেন। তিনি বলেন, আমাদের এই সফর প্রমান করেছে যে, দুর্গম ও দীর্ঘ পথ পরিক্রমায়ও ইলেকট্রিক কারের উপর আস্থা রাখা যায়। তিনি পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহার করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যানবাহনের ধোঁয়া থেকে নির্গত কার্বন পরিবেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে যানবাহন ছাড়া চলাফেরা করা অসম্ভব। তাই আমাদের এমন যানবাহন ব্যবহার করতে হবে যা পরিবেশ বান্ধব। এইদিক থেকে তিনি বৈদ্যুতিক গাড়িকে আদর্শ বাহন হিসেবে চিহ্নিহ্নত করেন।

তাদের এই সফরকে বৈদ্যুতিক গাড়িতে দ্রæততম সময়ের মধ্যে কানাডার একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যাওয়া হিসেবে দেখা হচ্ছে। ফেভার ওয়ার্ল্ড রেকর্ড সেটিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা ডেন হেলমো বলেন, পরিবেশ বান্ধব বৈদ্যুতিক গাড়িতে একটানা এতদূর পাড়ি দেয়া অবশ্যই একটি রেকর্ড। আর ১ম প্রচেষ্টায় সাফল্য লাভের এই গল্প অবশ্যই রেকর্ড বইয়ে লিপিবদ্ধ থাকবে। তিনি আরো বলেন, এর আগে ট্রান্স কানাডিয়ান হাইওয়ে দিয়ে একটি দল ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার হোয়াইট রুক থেকে নোভা স্কশিয়ার হ্যালিফেক্স পর্যন্ত বৈদ্যুতিক গাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য যাত্রা করেছিল। তারা দ্রুতই গন্তব্যের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা তাদের গন্ততব্যে পৌঁছাতে পারেনি। তারা মাঝপথেই তাদের অভিযান শেষ করেছিল।

হার্ভির এটি ২য় দফা কানাডার একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত সফর। এর আগে তিনি ২০১৯ সালে দীর্ঘ ৬৩ দিনে ওই সফর সম্পন্ন করেছিলেন। তার ইচ্ছা ছিল স্ত্রীকে সাথে নিয়ে তিনি কানাডার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে সফর করবেন। কিন্তু ২০১৮ সালের জুনে তার স্ত্রী মেরি অ্যান ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ায় তার সেই ইচ্ছা পূরণ হয়নি। তাই এবারের সফরের সফল সমাপ্তির পর পুরো বিষয়টি তিনি তার প্রয়াত স্ত্রীকে উৎসর্গ করেছেন। সূত্র : রেডিও কানাডা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *