রোববার সিডনি সময় রাত সাড়ে ৮টার দিকে ‘গৌরব ও অহংকারের ছাত্রলীগ- অতীত, বর্তমানের সোনালী আড্ডায়’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সভাটির আয়োজন করে মাসিক মুক্তমঞ্চ। সঞ্চালনা করেন মাসিক মুত্তমঞ্চের প্রধান সম্পাদক নোমান শামীম। আলোচনা সভায় উঠে আসে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সংগ্রামী সোনালী সময়ের অনেক গল্প, অনেক না জানা তথ্য।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার বলেন, বরিশাল সবসময়ই আন্দোলন-সংগ্রামের একটি সূতিকাগার ছিল। আমি স্কুলজীবন থেকে ছাত্রলীগ করতাম, স্কুল কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তখন আমাদের নেতাদের মধ্যে একটা আন্তরিকতা ছিল। তারা নিয়মিত কর্মীদের খোঁজ খবর নিত। যেসব কর্মী নিয়মিত মিটিং-মিছিলে অংশ নিত তারা যদি হঠাৎ অনুপস্থিত থাকতো তাহলে নেতারা খোঁজখবর নিতো। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির পরেও নেতাদের মধ্যে আমরা আন্তরিকতা পেয়েছি। কিন্তু বর্তমানে আওয়ামী লীগে অনেক অনুপ্রবেশকারী ঢুকে গেছে,তারাই ছাত্রলীগের সুনাম ক্ষুণ্ন করছে।
ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শাহাজাদা মহীউদ্দীন বলেন, ৮৬র নির্বাচনে ড. কামাল হোসেন সাহেব তখনও নাটের গুরু ছিলেন, এখনো নাটের গুরু, সিএইএ’র এজেন্ট। বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা কারো নির্বাচন বয়কটের কোনো ইতিহাস নেই। এরশাদই নির্বাচনে মিডিয়া ক্যু করে আওয়ামী লীগকে হারিয়ে দিয়েছিলো।
ঢাকা দক্ষিণ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সাবেক সভাপতি মো.শফিকুল আলম বলেন, নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের সময় ছাত্রলীগই ছিল মূল ভূমিকায়। সেসময় সরসরি আন্দোলন-সংগ্রামে জড়িত থাকায় অনেক ঘটনারই স্বাক্ষী আমি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি সাবেক সদস্য প্রফেসর ড. আবুল হাসনাৎ মিল্টন বলেন,৭৫ এর পর বাংলাদেশে বিএনপি ও জাতীয় পার্টি ছিল মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। আপনি এরশাদকে স্বৈরশাসক বলেন গালি দেন আর জিয়াউর রহমানকে পূজো করেন-এটা তো হবে না।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ডামেকসু’র সাবেক ভিপি ডা. ফরহাদ আলী খান বলেন, ৯০ এর গণআন্দোলনে ছাত্রলীগই ছিল মূল ভূমিকায় সেসময় ১০ অক্টোবর জিহাদ হত্যার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাই তার লাশ লুকিয়ে রেখেছিল,যাতে এরশাদের বাহিনী বা পুলিশ নিয়ে যেতে না পারে।