জমকালো প্যারিসে নিষিদ্ধ থার্টিফার্স্ট উদযাপন

আইফেল টাওয়ার আর শঁজেলিজেকে সঙ্গী করে থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপন করতে প্রতি বছর বিশ্বের নানাপ্রান্ত থেকে হাজারও মানুষ ছুটে আসতেন প্যারিসে।

জমকালো সব আয়োজনে শঁজেলিজেতে জড়ো হতেন লাখো মানুষ। জিরো আওয়ারে এসে ব্যস্ত হতো আতশবাজির আনুভূমিক উল্লাস। ঘড়ির কাঁটায় ১২টা ১ মিনিট বাজার সঙ্গে সঙ্গে শ্যাম্পেনের স্রোতে ভেসে উঠতো প্যারিসের রাজপথ গলিপথ সব।

 

মহামারী করোনা এবার সব স্তব্ধ করে দিয়েছে। ফ্রান্সে থার্টিফার্স্টের সব আয়োজন বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। বিশেষ করে প্যারিসে রাতে যাতে কেউ বের হতে না পারে সেজন্য সন্ধ্যা ৮টা থেকে পাবলিক পরিবহন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ৩১ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে কেউ যাতে বিনা কারণে ঘর থেকে বের হতে না পারে, সেজন্য শুধু প্যারিসের এক লাখ পুলিশ মোতায়েন থাকবে।

ফ্রান্সে থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপনে গাড়ি পুড়ানোর সংস্কৃতিও রয়েছে। তবে এটি ধীরে ধীরে কমে আসছে। ফ্রান্সে গাড়ি পুড়িয়ে নববর্ষ উদযাপনের রীতি শুরু হয় নব্বইয়ের দশকে। ফরাসি তরুণরাই নববর্ষ উদযাপনের এ রীতিটি দেশটির পূর্বাঞ্চল স্ট্রাসবার্গে শুরু করে। এরপর তা ক্রমান্বয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে।

ফ্রান্সে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নানা পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। গত ১৫ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফা লকডাউন শেষ হওয়ার পর থেকে অদ্যাবধি প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত কারফিউ বলবত রয়েছে। আগামী ২ জানুয়ারি থেকে কয়েকটি শহরে সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত কারফিউ ঘোষণা দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী অলিভিয়ে ভ্যারোঁ।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *