রাসেলকে নিয়েই ভয় বাংলাদেশ কোচের

শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ম্যাচটা বৃষ্টিতে পণ্ড হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের সমীকরণটা এখন কিছুটা কঠিন । সামনের সবগুলো ম্যাচই এখন গুরুত্বপূর্ণ। বিন্দুমাত্র ভুলের অবকাশ এখন আর নেই। পরের ম্যাচই ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে। গেইল-রাসেলদের আটকাতে কি পরিকল্পনা করছেন কোচ স্টিভ রোডস?

 

বৃষ্টির কারণে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটা পরিত্যক্ত হয়েছে। ম্যাচটা জিতে হারের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসবে বাংলাদেশ, এমনটাই ভাবা হচ্ছিল। জেতার আশা থাকা একটা ম্যাচে পয়েন্ট ভাগাভাগি হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই মন খারাপ গোটা দলের। পরের ম্যাচটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। সেটি নিয়ে এখনই সতর্ক দল। কোচ স্টিভ রোডস ভাবছেন কীভাবে ক্রিস গেইল কিংবা আন্দ্রে রাসেলদের থামাবেন। রাসেলকে নিয়ে যে আলাদা করেই ভাবছেন, সেটিও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

 

গেইল, রাসেল, হোপ, হেটমায়ার, লুইস, পুরান, ব্রাফেট— উইন্ডিজ দলটায় যেন বিগ হিটারের ছড়াছড়ি। এদের মধ্যে কাকে নিয়ে রোডস বেশি সতর্ক? বাংলাদেশ কোচ বললেন রাসেলের নাম, ‘আমার মনে হয়, ক্যারিবীয়দের প্রধান অস্ত্র আন্দ্রে রাসেল। সে এখন বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক ব্যাটসম্যান। তার দিনে সে সবকিছু করতে পারে। প্রতিপক্ষ বোলিং আক্রমণ দুমড়ে মুচড়ে দিতে পারে। তার বিপক্ষে বল করা এবং তার বিধ্বংসী ব্যাটিং আটকে রাখা খুব কঠিন।’

 

রাসেলকে ঠান্ডা রাখাটাই মূল লক্ষ্য বাংলাদেশের। রোডস সে কথাই বললেন, ‘আমরা রাসেলের কথা ভাবছি বিশেষ করে। আমার মনে হয় রাসেলকে ঠান্ডা রাখতে পারলে কাজটা সহজ হয়ে যাবে। আর শর্ট বল নিয়ে আমি ভীত নই। আশা করি আমাদের ব্যাটসম্যানরা শর্ট বল মোকাবিলা করবে ভালোভাবেই।’

 

তবে সেমিফাইনালে ওঠার জন্য শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজই নয়, বাকি ম্যাচগুলোও জেতার চিন্তা করতে হবে। এ কারণেই শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অখণ্ড মনোযোগ দিতে চাইলেন না রোডস, ‘আমরা শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিয়েই ভাবছি না। আমাদের চিন্তা-ভাবনা ও পরিকল্পনায় আছে বাকি সব দলও, যাদের সঙ্গে আমাদের খেলা বাকি আছে- তাদের সবার কথাই মাথায় রেখেছি আমরা।’

 

আগে ম্যাচগুলো থেকে পাওয়া শিক্ষা সামনের ম্যাচগুলোতে সফলভাবে কাজে লাগাবে বাংলাদেশ, এমনটাই আশা করছেন রোডস, ‘আমরা আগের তিন খেলা থেকে কিছু না কিছু শিখেছি। রপ্ত করেছি। সবচেয়ে ভালো লেগেছে, আমাদের ব্যাটসম্যানরা শর্ট বলে ঘাবড়ে যায়নি। বেশ আস্থার সঙ্গে প্রতিপক্ষের খাটো লেংথের বলগুলো মোকাবিলা করেছে। বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শর্ট বল বেশ ভালো খেলেছে আমাদের ব্যাটসম্যানরা। ইংল্যান্ডের জফরা আর্চারকেও ভালোভাবেই সামলেছে আমাদের ব্যাটসম্যানরা।’

 

এসব ছোট খাট ইতিবাচক দিকগুলোকে সামনে রেখেই ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের আগে জেতা ত্রিদেশীয় সিরিজের একটি দল ছিল বাংলাদেশ। উইন্ডিজকে কীভাবে বধ করতে হয়, ভালোই জানা আছে সাকিবদের। সে জয়ের ধারাটাই বজায় রাখা একমাত্র লক্ষ্য বাংলাদেশের, জানিয়েছেন রোডস, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে আমরা খেলে আসলাম মাত্র। আয়ারল্যান্ডে যদিও ওশানে টমাসের মতো পেসার ছিলেন না। তবে তাকে আমরা এ বছরই নিজেদের দেশে খেলে এসেছি। তাই আমরা সতর্ক আছি। কীভাবে তাদের মোকাবিলা করব, সেটাও মোটামুটি স্থির করা আছে। এখন মাঠে ঠিকঠাকভাবে প্রয়োগের অপেক্ষা।’

 

যে ত্রিদেশীয় সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আয়ারল্যান্ডকে টপকে বাংলাদেশ জিতল, সে সিরিজে রাসেল গেইল ও রাসেল – কেউই ছিলেন না। তাদের বোলিং-ব্যাটিংটাও এতটা বিধ্বংসী মনে হয়নি। রোডসের চিন্তা তো হবেই!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *